জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদের জেরে কংগ্রেসের সমর্থক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মহিলা সদস্যাকে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ।

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ ::মালদহ :: রবিবার ৩১,ডিসেম্বর :: জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিবাদের জেরে কংগ্রেসের সমর্থক আত্মীয়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের মহিলা সদস্যাকে বাড়িতে ঢুকে মারধরের অভিযোগ। পাল্টা কংগ্রেস সমর্থক, তার মাকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত একাধিক। গতকাল রাত্রের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকা জুড়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দৌলতপুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরে দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা রিয়াজউদ্দিন ও তার খুঁড়তুতো ভাই কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ইমদাদুল হকের মধ্যে একটি জমি নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। এই জমির দখল নিয়ে পুলিশে অভিযোগ এবং কোর্টে মামলা পর্যন্ত হয়। অভিযোগ যে ইমদাদুল, রিয়াজুদ্দিনের পরিবারকে চাপ দেয় অবিলম্বে থানা থেকে তাদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ তুলতে হবে। এই ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিও হয়।

অভিযোগ ওঠে এই ঘটনার পরেই শুক্রবার সন্ধ্যা বেলা ইমদাদুল দল বল নিয়ে রিয়াজুদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়। রিয়াজুদ্দিন তৃণমূল করেন। বাড়িতে পুরুষদের না পেয়ে রিয়াজুদ্দিনের দুই বৌমার উপর অত্যাচার চালায় এমনকি শ্লীলতাহানিও করে বলে অভিযোগ। তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।

এরপরে রিয়াজুদ্দিনের পরিবার দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭ নম্বর বুথের তৃণমূলের সদস্যা অঞ্জুরা খাতুনের বাড়িতে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানেও তাদের উপর চড়াও হয় ইমদাদুল ও তার দলবল বলেও অভিযোগ। তৃণমূলের সদস্যা আনজুরা খাতুনকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ইমদাদুলের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় রিয়াজউদ্দিন গুরুতর আহত হয় তাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চাঁচল সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অন্যদিকে ইমদাদুল হক জানিয়েছেন, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী তাদের পরিবার এবং তার উপর নির্মম আক্রমণ চালিয়েছে। এর আগেও আমাকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমি কংগ্রেস করি বলেই তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী আক্রমণ করেছে।

অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, এই নিয়ে দুই পক্ষই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

10 + 14 =