নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে কঠিন পরীক্ষায় নেমেছেন দুই নেতা। তাঁদের একজন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিপ্লব দেব। তিনি ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যজন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ ও তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
ত্রিপুরায় বিজেপির প্রভাব ক্রমেই কমছে, বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে নানা মহলে এমনটাই অভিযোগ। অভিযোগ রয়েছে, বিপ্লব দেব ত্রিপুরায় বিজেপির শক্তি যেমন ধরে রাখতে পারছেন না, তেমনি তৃণমূলের উত্থান ঠেকাতে পারছেন না। রাজ্যটিতে কয়েকজন বিজেপি নেতা ইতিমধ্যে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সামনে দলবদলের এমন প্রবণতা আরও দেখা যেতে পারে। এর ফলে এবারের পৌরসভা নির্বাচনে হারলে বিজেপি বিপ্লব দেবকে সামনে রেখে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে কি না, এ প্রশ্নও সামনে এসেছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করায় তৃণমূল নেতাদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। এবার ত্রিপুরায় ক্ষমতা নিতে চাইছে দলটি। যার প্রথম পদক্ষেপ এবারের পৌরসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচন সামনে রেখে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য এই নির্বাচন তাঁর সামনে বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ত্রিপুরায় অভিষেক নিজের মতো করে দল সাজিয়েছেন। আসামের বরাক উপত্যকা থেকে নিয়ে গেছেন সাংসদ সুস্মিতা দেবকে। ত্রিপুরার অভিজ্ঞ রাজনীতিক সুবল ভৌমিককে রাজ্য তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। এ ছাড়া কলকাতা থেকে নিয়মিত নেতা-নেত্রীরা ত্রিপুরায় গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে অভিষেক নিজেও অনেকটা সময় ত্রিপুরায় কাটাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ত্রিপুরায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচন যদি ফাইনাল হয়, তবে সেমিফাইনাল হতে চলেছে এবারের পৌরসভার নির্বাচন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন, নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপর্যয় ঘটবে। এবারের নির্বাচনে লড়াই হবে বিজেপির সঙ্গে সিপিআইএমের । গত এপ্রিলে তফসিলি উপজাতিভুক্ত অঞ্চলের নির্বাচনে ত্রিপুরার মহারাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের দল টিপরা মথা (ত্রিপুরা ইন্ডিজিনাস প্রগ্রেসিভ রিজিওনাল অ্যালায়েন্স) জিতেছিল। এবারের পৌরসভা নির্বাচনে দলটি কেমন ফল করে, সেদিকেও নজর থাকবে সংশ্লিষ্টদের।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা। ২৫ নভেম্বর আগরতলা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনসহ রাজ্যের ২০টি পৌরসভার ৩৩৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। প্রায় ছয় লাখ ভোটার এবারের পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দেবেন। ফল ঘোষণা করা হবে ২৮ নভেম্বর।