বন্ধ আবাসনে বাবা-মা ও ছেলের দেহ উদ্ধারের পর ভিডিও পোস্ট উদ্ধার পুলিশের

সুদেষ্ণা মন্ডল : সংবাদ প্রবাহ :: নরেন্দ্রপুর :: বুধবার ০৩,ডিসেম্বর :: -দক্ষিণ শহরতলীর গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন বন্ধ আবাসন থেকে থেকে একই পরিবারের তিন সদস্যের ঝুলন্ত পচা গলা দেহ উদ্ধারের পর রীতিমত কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে খবর , ঘরের তিনটি আলাদা জায়গায় থেকে তিনটি ঝুলন্ত পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয় । কেন তাঁরা তিনজনেই একসাথে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।

মৃতের ভিডিও পোস্ট  প্রামান্য তথ্য পুলিশের হাতে ::  চিত্র সংগ্রহ  সংবাদ প্রবাহ  

ঘরের মধ্যে থেকে কোনও সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি। ওই পরিবারের সঙ্গে কারও কোনও বিরোধ বা অশান্তি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের তরফে ওই আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের মোবাইলের কল লিস্ট ঘেঁটে দেখা হচ্ছে। তাঁদের পরিজন, আত্মীয়দেরও খোঁজ করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি (ডিইবি)মোহিত মোল্লা জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং ঘরের দরজা ভেঙে তিনজনের মৃতদেহ আমরা উদ্ধার করে।

কি কারনে একই পরিবারের তিনজনেই আত্মঘাতী হল তা ময়না তদন্তের পর সঠিক তথ্য উঠে আসবে। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে ।পাশাপাশি মৃতদের নিকট আত্মীয়দেরও খোঁজ চালানো চচ্ছে । তবে মৃত্যুর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন সুমন রাজ মৈত্র। সেই ভিডিওতে তিনি উল্লেখ করেন যে , তাঁরা কঠিন পদক্ষেপ নিতে চলেছেন। এর পিছনে কেউ যুক্ত নেই। ঠিকঠাক উপার্জন না থাকার কারণেই এই কঠিন পদক্ষেপ বেছে নেওয়া হয়েছে। তাদের ছোট মামার ওপরে সম্পূর্ণ আশ্রয়ই ছিলেন এই পরিবার। তাঁদের মৃত্যুর পর সমস্ত টাকা ও নথি ছোট মামার হাতে যেন তুলে দেওয়া হয় ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × five =