নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নরেন্দ্রপুর :: বুধবার ০৩,ডিসেম্বর :: পানাগড়ের রেল পাড়ে ৩জনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই বাড়ির এক মহিলাকে গ্রেফতার করে বুধবার দুপুর ১১টা নাগাদ মহকুমা আদালতে পেশ করলো কাঁকসা থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত গত নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে পানাগড়ের রেলপাড়ে রাজা বিশ্বকর্মা নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকা জুড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কাঁকসা থানার পুলিশ। মৃতরা হলেন সিমরন বিশ্বকর্মা (২৩), সীতা দেবী (৭০), ও সনু বিশ্বকর্মা (২১)। সীতাদেবী ও সোনুর বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। জানা গিয়েছে, রেলপাড়ের বাসিন্দা ধনঞ্জয় বিশ্বকর্মা তার স্ত্রীকে নিয়ে আসামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ছোট মেয়ে সিমরন বাড়িতেই ছিলেন। সিমরনের দিদিমা সীতাদেবী ও মামা সোনু তাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
সিমরনের কাকিমা রিঙ্কি বিশ্বকর্মা জানিয়েছিলেন ওই দিন তিনি বাড়িতে কাজ করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ মাথায় হেলমেট পড়ে বাইকে করে এক ব্যাক্তি তাদের বাড়িতে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার বেরিয়ে চলে যায়। এদিন দুপুর বারোটা নাগাদ প্রতিবেশীরা সোনুকে বাড়ির উঠোনে বাকিদের ঘরের ভেতরে তাও আলাদা আলাদা ঘরে খাটের উপর মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এলাকাবাসীরাও মোটরসাইকেলে করে হেলমেট পড়ে আসা এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিন জনকে কে এবং কিভাবে খুন করে তা নিয়ে ধন্ধে পরে যায় পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ইস্ট কুমার গৌতম ঘটনার দিন সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছিলেন ৩ জনকেই স্বাস রোধ করে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিলো।
এই ঘটনায় সিমরণের ও তার মামা ও তার দিদার মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া যায় নি। তবে পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে একাধিক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনির সন্ধান পায় নি।শেষে ৩জনের খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে সিমরণের কাকিমা রিঙ্কি বিশ্বকর্মা কে মঙ্গলবার রাতে তার বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে বুধবার মহকুমা আদালতে পেশ করে।