সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সোনারপুর :: বহুদিন ধরেই দলের মধ্যে একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দানা বাঁধছিল। এবার তা প্রকাশ্যে চলে এলো। দলের রাজপুর টাউন সভাপতি কে? তা নিয়েই শুরু টানাপোড়ন। দুটি পোস্টার ঘিরে এখন তৈরি হয়েছে কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি। রাজপুর সোনারপুর পৌরসভা এলাকার রাজপুর টাউন জুড়ে পড়েছে উৎসবের শুভেচ্ছা।
দুইজনের পোস্টারে এক নেতা এবং আরেকজন নেত্রী। দুজনেই নিজেকে রাজপুর টাউন সভাপতি বলে দাবি করছেন। তাহলে কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরো তীব্রতর হলো? দীর্ঘদিন এই অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা শিবনাথ ওরফে শিবু ঘোষ। কিন্তু জেলা কমিটি ঢেলে সাজানোর পর অনেক রদবদল করা হয়। তখন কুহেলি ঘোষকে রাজপুর টাউনের সভাপতি ঘোষণা করা হয়। তৃণমূলের ওয়েবসাইটেও কুহেলি ঘোষের নাম আপলোড করে দেওয়া হয়। সেইমতো তিনি কাজ শুরু করে দেন। কিন্তু তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী কুহেলি দেবীকে মেনে নিতে পারছেন না। এবার তা নিয়ে দলের অন্দরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
এদিকে পুজোর সময়ে শুভেচ্ছাবার্তার পোস্টার দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে আরও একটি পোস্টার দেওয়া হয়। যেখানে নাম রয়েছে শিবু ঘোষ এর। তিনি নিজেকে দলের সভাপতি বলে এখনও দাবি করছেন। তাৎপর্যপূর্ণ হলেও একজনের পোস্টারে বিধায়কের ছবি নেই, আরেকজনের পোস্টারে বিধায়কের ছবি দেওয়া রয়েছে।
এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তবে এই পোস্টের বিতর্ক নিয়ে অবশ্য প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। তবে এমন কাণ্ড যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বিরম্বনায় ফেলেছে তা এবার স্পষ্ট হয়ে গেল।
তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই বিষয়টি জানানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তখন নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পি.এ ফোন করে শিবু বাবুকে কাজ চালিয়ে যেতে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান শিবু ঘোষ। যদিও লিখিত কিছু আসেনি এখনো। সব মিলিয়ে এখন পোস্টার বিতর্ক ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এলো তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।