নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: চুঁচুড়া :: শনিবার ২০,জানুয়ারি :: অবসরের বয়স পেরিয়ে গেছে, তারা প্রত্যেকেই এখন প্রবীণ নাগরিক।এমন বয়সে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেলেন হুগলির ৬২ জন।আরও চারজনের নামে নিয়োগ পত্র দেওয়া হলেও তাদের মৃত্যু হয়েছে আগেই। আর এ নিয়েই সোরগোল পড়েছে হুগলিতে।
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্ত চলছে রাজ্যে।প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী সহ শিক্ষা দপ্তরের একাধিক আধিকারীক জেলে রয়েছেন।এমন সময় হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের এই নিয়োগ পত্র নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।এবিপিটিএ এই ঘটনার তদন্ত দাবী করেছে।বিজেপির অভিযোগ অকর্মণ্যেদের দিয়ে কাজ চললে এমনই হয়। মুখে কুলুপ এঁটেছে শিক্ষা সংসদ।
সম্প্রতি হুগলি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপারসন ৬৬ জনের নিয়োগ পত্র দেন।যাদের সকলেরই বয়স ষাট পেরিয়েছে।চারজনের মৃত্যুও হয়েছে।এই নিয়োগ পত্র নিয়ে অনেকেই উল্লিখিত স্কুলে গিয়ে খোঁজ নিয়েছেন।কেউ আবার সার্কেল অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করেছেন।ঘটনা সামনে আসতেই সোরগোল পড়েছে।
নিয়োগ পত্র পেয়েছেন পান্ডুয়ার দীনবন্ধু ভট্টাচার্য।তিনি এদিন পান্ডুয়া সার্কেলে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বলেন,সে সময় বামফ্রন্ট সরকার ছিল।আমরা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছিলাম।আমারা চাকরি পাইনি।পরে প্যানেল বাতিল হয়ে যায়।এখন শিক্ষা সংসদ থেকে নিয়োগ পত্র পেয়েছি। কি করে হল জানিনা।
৭১ বছরের বৃদ্ধ অচিন্ত আদক বলেন,আমরা ৮৩ সালে মামলা করেছিলাম।এখন চাকরি দিচ্ছে কি করে দিলো জানিনা।ষাট বছরে তো অবসর হয় আর এই বয়সে কি করে চাকরি করব।