সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: কাকদ্বীপ :: শুক্রবার ২৬,জানুয়ারি :: ২০১৬ সালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ও সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনা ঘটে। আর সেই ঘটনা তদন্ত শুরু করে ঢোলাহাট থানা।
এই ঘটনার ঘটার ৮ বছর পর এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো ঢোলাহাট থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে আবুজেল মোল্লা কে তার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে কুপিয়ে খুন করা হয়। সেই সময় তদন্ত নেমে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল ঢোলাহাট থানার পুলিশ। এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত সালাম হালদার ফেরার ছিল। এই খুনের পিছনে হাত রয়েছিল সিপিএমের এমনটাই প্রাথমিক অনুমানে উঠে এসেছে।
অভিযুক্তকে গতকাল রাত্রে সন্তোষপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন ঢোলাহাট থানার পুলিশ । সালাম হালদার এলাকায় সিপিএম কর্মী সমর্থক হিসেবেই পরিচিত। বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্তকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ওই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০৭,৩০২ আইপিসি, ধারায় মামলার রুজু করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।
কিন্তু অভিযুক্তের পরিবারসহ অভিযুক্ত জানান রাজনীতির চক্রান্তে ওই অভিযুক্ত কে মিথ্যে ফাঁসানো হয়েছে। এই বিষয়ে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে আইনজীবী দেবাশিস মিদ্দে জানান, এই ঘটনায় মোট ২৩ জন অভিযুক্ত ছিল । চার্জশিটে ১৮জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল । এই খুনের পিছনে অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ২৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করলেও পরবর্তীকালে পুলিশে চার্জশিটে ১৮ জনের নাম বাদ যায়।
মূল অভিযুক্ত হিসাবে পুলিশের চার্জশিটে ৫ জনের নাম রাখা হয়েছে। এই পাঁচজনের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আগেই গ্রেফতার করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্ত সালাম হালদারকে গ্রেফতার করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ । অভিযুক্তকে কাকদ্বীপ মহকুমার আদালতে পেশ করলে মহামান্য বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।