রাজ্য বাজেট :: বাড়লো লক্ষীর ভান্ডারের মাসিক ভাতা,মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রসাথী প্রকল্প ঘোষণা আর জনমুখী পাঁচ লক্ষ্ চাকরির ঘোষণা – বেকার গৃহবধু এবং মত্স্যজীবিদের মুখে হাঁসি

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: কোলকাতা :: বৃহস্পতিবার ৮,ফেরুয়ারি :: বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি জানালেন, যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন সরকার এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থাগুলিতে সমস্ত খালিপদ পূরণের জন্য ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান করা হবে। এছাড়াও ভাতা বাড়ানো হল, সিভিক, গ্রিন ও ভিলেজ পুলিশদের। বাড়লো লক্ষীর ভান্ডারের ভাতা । এবার থেকে লক্ষীর ভান্ডারের প্রাপিকারা পাবেন এক হাজার টাকা করে ।

পাশাপাশি বাজেটে জানানো হয়, আবাস যোজনার টাকার জন্য আরও এক মাস অপেক্ষা করা হবে। তারপরও কেন্দ্র সরকার টাকা না দিলে রাজ্য সরকার এই বিষয়টি বিবেচনা করবে। ‘পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড’ চালু হচ্ছে বলে এদিন জানান অর্থমন্ত্রী। বার্ষিক ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। ১৮-৫০ বছরের ২ লক্ষ যুবক-যুবতী স্বনিযুক্তিমূলক কাজের জন্য এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক ঋণ ব্যাংক মারফত পাবে। ৪ শতাংশ সুদে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ঋণ পাবে।

বাজেট পেশের সময় বিজেপির হই হট্টগোল! মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তোপ দাগলেন, “বিজেপি অ্যান্টি বাঙালি”। মনে করিয়ে দিলেন সাংসদের সাসপেনশনের ঘটনাও।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় রাজ্য বাজেট। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেট পড়তে শুরু করা মাত্রই বিজেপি বিধায়করা হই হট্টগোল শুরু করেন। অধ্যক্ষ তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। তা সত্ত্বেও থামেননি বিরোধী বিধায়করা। যার পরই মেজাজ হারাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ।

তিনি বলেন, “বিজেপি অ্যান্টি বাঙালি। এরা বাংলার ভালো চায় না।” তাঁর কথায়, রাজ্যের মানুষের অধিকার রয়েছে রাজ্য কী কী করছে তা জানার। কিন্তু বিজেপি তা চাইছে না। বিজেপিকে একহাত নিয়ে এদিন মমতা আরও বলেন, “এটা বিজেপির পার্টি অফিস নয়, বিধানসভা।” সাংসদদের সাসপেনশনের ঘটনা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “পার্লামেন্টে ১৪৭ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। আমরা এসব করব না। তবে মনে করিয়ে দিলাম।” অর্থাৎ প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রাখলেন তিনি। এর পর ফের বাজেট পড়তে শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।

রাজ্য বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে বড়সড় ঘোষণা। এই প্রকল্পে ভাতা বেড়ে দ্বিগুণ। এবার থেকে আর ৫০০ টাকা নয়। প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পাবেন সাধারণ বা জেনারেল শ্রেণিভুক্ত মহিলারা। তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলার প্রতি মাসে পাবেন ১২০০ টাকা করে। ভাতা বৃদ্ধিতে খুশি কোটি কোটি উপভোক্তা।

এদিনের বাজেটে মৎস্যজীবীদের জন্য সমুদ্রসাথী প্রকল্প ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এই প্রকল্পে মোট ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সুবিধা পাবেন সরকারি খাতায় নথিভুক্ত থাকা কমপক্ষে ২ লক্ষ মৎস্যজীবী। মূলত পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা এই তিন জেলার মৎস্যজীবীরা প্রকল্পের আওতাধীন। প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত দুটি মাসে ৫ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন তাঁরা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − seventeen =