বর্ধমানে আড়াই লক্ষ টাকার চোরাই কাঁঠাল কাঠের গুঁড়ি জব্দ ।

উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: পূর্ব বর্ধমানের খোদ অতিরিক্ত জেলা বনাধিকারিক সারদা সাহার হাতে ধরা পড়লো একটি ট্রাক্টর ও একটি মোটর ভ্যান বোঝাই প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার চোরাই কাঁঠাল কাঠের গুঁড়ি। বুধবার বর্ধমান শহরের জিটি রোডে কেষ্টপুর মোড়ের কাছে এই কাঠের গুঁড়ি বোঝাই গাড়ি দুটিকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় প্রথমে আটক করেন খোদ এডিএফও।

অতিরিক্ত জেলা বনাধিকারিক সারদা সাহা জানিয়েছেন, তিনি প্রশাসনিক কাজে তাঁর গাড়িতে গোলাপবাগ মোড় হয়ে কার্জন গেটের দিকে আসার সময় হঠাৎই তাঁর নজরে আসে একটি ট্রাক্টর ও একটি মোটর ভ্যান বোঝাই কিছু গাছের গুঁড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি রুটিন পরীক্ষা করার জন্য গাড়ি থেকে নেমে কাঠের গুঁড়ি বোঝাই গাড়ি দুটিকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এতে বেশ কিছু অসংগতি লক্ষ্য করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, কাঠের গুঁড়ি গুলো স্থানীয় একটি কাঠের কারখানায় নিয়ে আসা হচ্ছিল।

এরপরই কাঠের গুঁড়ি ভর্তি গাড়ি দুটিকে সরাসরি আটক করে রমনা বাগান ফরেস্টের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে এই কাঠের গুঁড়ি কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সম্মন্ধীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখতেই জানা যায় এই কাঠের গুঁড়ি গুলো পুরুলিয়ার কোটশিলা এলাকা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। কিন্তু বনবিভাগের আইন মোতাবেক যে সমস্ত নিয়ম রয়েছে এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। সারদা সাহা জানিয়েছেন, এরপরই সমস্ত কাঠের গুঁড়ি, দুটি গাড়ি সহ এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

বিস্তারিত জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আটক ব্যক্তিকে। তিনি জানিয়েছেন, অন্য কোন জায়গা থেকে অন্যত্র যদি গাছ বা গাছের গুঁড়ি নিয়ে যাওয়া হয় সেক্ষেত্রে সংস্লিষ্ট বনবিভাগের অনুমোদন সম্বলিত হাতুড়ি ছাপ এবং কাগজপত্র থাকা জরুরি। এই নিয়মের বাইরে যদি কেউ গাছ কেটে বা গাছের গুঁড়ি সরবরাহ করে তাঁকে আইন মোতাবেক আটক করা হয়। প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হয়। এক্ষেত্রেও গাছের গুঁড়ি গুলোর কোনো নাম্বারিং বা হাতুড়ির (hammer)ছাপ ছিল না। কাগজপত্রেও অসঙ্গতি ছিল। স্বাভাবিকভাবেই গাছের গুঁড়ি ও বহনকারী গাড়িগুলো সহ একজনকে আটক করেছে বর্ধমান বনবিভাগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =