নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নদিয়া :: শনিবার ১৭,ফেব্রুয়ারি :: হরিহরপাড়ায় কিশোরী খুনে ফের ময়নাতদন্তের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে কবর থেকে তোলা হল দেহ। সম্প্রতি পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর গত ২৭ শে জানুয়ারি হরিহরপাড়ার ধরমপুর গ্রামে বছর তেরোর এক কিশোরীর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সষে খেত থেকে ।
পরিবারের অভিযোগ ছিল তাকে অপহরণের পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে, তার চোখ উপরে নেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ ছিল। মৃতের পরিবারের দাবি ওই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশী এক কিশোরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মৃতের মার অভিযোগ মেয়ের এক বান্ধবীর কাছ থেকে জানতে পেরেছে তার মেয়ে ওই সম্পর্কের জেরে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন।
তার চোখ উপরে নেওয়া হয়েছে, অথচ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সে সবের উল্লেখ নেই। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে মেয়ের দেহের ফের ময়নাতদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন পরিবারের লোকজন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত আবেদন মঞ্জুর করে। তাই আজ বিচারপতির নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিওগ্রাফি করে তোলা হচ্ছে দেহ।
কলকাতার এস এস কে এম হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উপস্থিতিতে ওই কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত হবে। কবর থেকে কিশোরীর দেহ তোলা হচ্ছে জানাজানি হতেই কবরস্থানের আশপাশে এলাকার মানুষজন ভিড় জমিয়েছে, ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে। পরিবারের লোকজনদের দাবি তাদের মেয়েকে যারা নৃশংসভাবে খুন করেছে তাদের পুলিশ শাস্তির ব্যবস্থা করুক।