আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: পাঁশকুড়া ;: বুধবার ২১,ফেব্রুয়ারি :: পাঁশকুড়া ব্লক এর অন্তর্গত পুরুষোত্তমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহাম্মদ মুরাদ এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ মাইতির ছেলে সুদীপ কুমার মাইতি, বাবা রাজ মিস্ত্রি কাজ করে এবং মা বিড়ি বাঁধে ,দুই বোনের বিয়ে হয়েছে।
পড়াশোনায় প্রথম থেকেই ভালো, বরাবরই অত্যন্ত অনুগত। সায়েন্স নিয়ে পূর্ব চিলকা লালচাঁদ হাই স্কুল থেকে বেরিয়ে প্রথমে সরকারি কলেজ থেকে পলিটেকনিক, তারপর বি. টেক এবং এখন আই আই টি গুয়াহাটিতে এম. টেক এ পাঠরত। ত্রিপল ঘেরা চটের ছটে বেড়ার বাড়ি থেকে আই আই টি গুয়াহাটিতে চান্স, যা পাঁশকুড়া বাসীর কাছে গর্বের, পূর্ব ।
চিলকা লালচাঁদ হাই স্কুলের শিক্ষক সান্তনু চক্রবর্তী ও তার বন্ধু এষা ভৌমিকের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি, জামাইবাবুদের আর্থিক সাহায্য এমনকি বোনের সোনার গয়না বিক্রি করে কলেজের ফি দিতে হয়েছে সুদীপকে । ছোটবেলা থেকে কষ্টের সাথে লড়াই করে এগিয়ে যেতে হয়েছে সুদীপকে, ছিটে বেড়া দেওয়াল ত্রিপল ঘেরা এক কামরার বাড়ি, বারবার আবেদন করলেও মেলেনি আবাস যোজনার বাড়ি ।বর্ষা হলেই জল ঢুকে যায় বাড়িতে।
এত প্রতিকূলতা কে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় সুদীপ।আই আই টি গুয়াহাটিতে এম. টেক এ পাঠরত অবস্থায় দুটো কাজের অফার পায় সুদীপ। এন আইটি রায়পুরে ল্যাব টেকনিশিয়ান ডি আর ডি ও, দেরাদুন, জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ। আবাস যোজনার বাড়ির আশায় পরিবার।