কাশ্মীরের রাস্তায় ব্যাট হাতে মাস্টার ব্লাস্টার

সজল দাশগুপ্ত  :: সংবাদ প্রবাহ :: স্পোর্টস ডেস্ক  :: শুক্রবার ২৩,ফেব্রুয়ারি :: সচিন তেন্ডুলকর প্রথমবার কাশ্মীর সফরে , তিনি সপরিবারে ভূস্বর্গে বেড়াতে গিয়েছেন। শচীন পুত্র অর্জুন তেন্ডুলকর ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত। তাই তিনি স্ত্রী অঞ্জলি ও কন্যা সারাকে কাশ্মীরে গিয়েছেন। সচিন সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে যে ভিডিও পোস্ট করেছেন । মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।সকলেই অবাক, কিছুটা হতবাক! অনেকের মনে এই প্রশ্ন একজন তারকা কীভাবে এতটা সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন?

সচিন গতকাল যান আমন সেতু দেখতে। জম্মু ও কাশ্মীরে উরি সেক্টরের লাইন অব কন্ট্রোলে ফাইনাল ফ্রন্টিয়ারে দাঁড়িয়ে তিনি স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে ছবিও তোলেন । এরপর আমন সেতুর নিকট কামান পোস্টে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের সাথে বেশ কিছু সময় কথাবার্তা বলেন।

কাশ্মীরে গিয়ে সচিন আচমকাই গাড়ি থামিয়ে নিয়ে একটি ব্যাট তৈরির কারখানার ভেতরে প্রবেশ করেন। কাশ্মীরি উইলোর সঙ্গে অন্যান্য ব্যাটের তফাত নিজে যাচাই করে নেন। এরপর তিনি ব্যাট কারখানার কর্ণধার ও কর্মীদের সাথে কথাবার্তা বলার সময় জানান দিদির কাছ থেকে প্রথম কাশ্মীরি উইলো ব্যাট উপহার পাওয়ার কথা।

শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে উক্ত ব্যাট কারখানার ভিতরে যেভাবে প্রবেশ করে সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন। সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটল গতকাল উরিতে। সচিন গাড়িতে যেতে দেখতে পান রাস্তার উপর স্থানীয় কয়েকজন ক্রিকেট খেলছেন।

ক্রিকেট খেলা হচ্ছিল, কিন্তু কোন উইকেট ছিল না | একটি বাক্সের উপর তেলের বোতলকে ব্যবহার করে উইকেট বানানো হয়েছিল। কেউ ভাবতেই পারেনি সেখানে চলে আসবেন সচিন তেন্ডুলকার। যারা ওইখানে উপস্থিত ছিলেন সকলে রীতিমতো অবাক হয়ে যান।

এরপর সচিন বেশ কিছুক্ষণ ব্যাটিং করেন। শচীনের ব্যাট থেকে বের হয়ে কভার ড্রাইভ সহ বিভিন্ন শট। তিনি হয়তো ফিরে গেলেন মুম্বইয়ে গলি ক্রিকেট খেলার দিনগুলিতে। কখনও বা সোজা, কখনও বা উল্টো করে ধরে টেনিস বলকে পাঠালেন দূরে। দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অঞ্জলি, সারাও।

স্থানীয়দের সাথে সেলফি তুললেন। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিওটি শেয়ার করে সচিন লিখেছেন, ক্রিকেট ও কাশ্মীর, ভূস্বর্গে দারুণ ম্যাচ। দুর্দান্ত পরিবেশে কাশ্মীরের রাস্তায় মুহূর্ত দারুণ ভাবে উপভোগ করেছেন সচিন, পহেলগাঁওতেও গিয়েছিলেন সচিনরা। কাশ্মীরে যাওয়ার রাস্তায় বিমানের ভিতর সচিন, সচিন চেনা স্লোগানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সচিনের ব্যাট কারখানায় যাওয়ার পরবর্তী ক্রিকেট খেলার মুহূর্তও মন জয় করে নিয়েছে সকলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − eleven =