নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো সহ বছর শেষের উৎসবের দিনগুলিতে বাজী পোড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশ পুলিশকেই নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়ে দিল বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিসন বেঞ্চ। পাশাপাশি, ডিভিশন বেঞ্চের আরও নির্দেশ পুজোর দিনগুলিতে বাজী সংক্রান্ত কোনও ডিসপ্লে করা যাবে না। তবে রাজ্যবাসী চাইলে প্রদীপ, মোমবাতি ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে আদালত।
করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে মাথায় রেখে এদিন সেই নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে। কারণ রাজ্যে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ উর্ধমুখী। ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, গ্রীন ক্যাকার্স যে পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়, সেটা বিভিন্ন এক্সপার্ট দিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু এগুলো যে সত্যি গ্রীন ক্যাকার্স সেটা কি ভাবে প্রমাণিত হবে? আদালতের মতে, যিনি কিনছেন, যিনি বিক্রি করছেন এবং সর্বোপরি পুলিশ কি ভাবে বুঝবেন যে এটা পরিবেশ ও মানুষের ক্ষতি করবে না ?
ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের অপেক্ষায় সারা দেশ।এই অবস্থায় বাজি পোড়ানো,বিক্রি করার অনুমতি দেবো কি ভাবে? বৃহত্তর মানুষের স্বার্থের কথা ভাবতেই হবে ক্রেতা, বিক্রেতা, প্রস্তুতকারী সংস্থাদের। বাজী নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছেন বাজি বিক্রি সংক্রান্ত। গ্রীন ক্যাকার্স বিক্রির অনুমতি রয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত এবং সুপ্রিম কোর্টের তবে বিক্রি এবং পোড়ানোর সময় পরীক্ষা করবেন কে?
রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বাজী ব্যবহারে কিছু অনুমতি দিয়েছে কিন্তু সেগুলো কি ভাবে পরীক্ষা করা হবে, কে পরীক্ষা করবেন তার কোন উত্তর নেই পর্ষদের বলে মন্তব্য আদালতের। উৎসবের মরশুমে কে পরীক্ষা করবেন? একদিকে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা রাজ্যে দেশে উর্ধমুখী। বহু মানুষের শ্বাসকষ্টের সমস্যা, তার উপর বাতাসে মিশবে বিষাক্ত বাজির গন্ধ যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। বাজি বিক্রি কোন বাজির ছবি ডিসপ্লে করা যাবে না। তাই কালী পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এমনকি ক্রিসমাসেও এই নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে।