নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কেশপুর :: শুক্রবার ১২,এপ্রিল :: হিন্দু সংস্কৃতিতে চৈত্র মাস পুজো-পার্বণ-কৃচ্ছতা সাধনের মাস। চিত্রা নক্ষত্র যুক্ত পূর্ণিমা মাসই হল চৈত্র। চৈত্র শেষে পুজো-পার্বণের মধ্যে দিয়ে শিবের আবাহন কে গাজন বলে। মূলতঃ বঙ্গের লৌকিক শৈবধর্মের মধ্যে এদেশের একটি প্রাগৈতিহাসিক উৎসব এর ধারা প্রবেশ করেছে তা গাজন নামে পরিচিত।
কোথাও আদ্যের গাজন। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গে নীলের গাজন বলে পরিচিত। নিম্ন বঙ্গে দেল পুজো নামে পরিচিত। উত্তরের মালদাতে নাম গম্ভীরা। গাজনের সঙ্গে যুক্ত চড়ক, ছিরুয়া উৎসব, মুখোশ নাচ, গমিরা ইত্যাদি। গাজন-চড়ক-নীল নানা দিক থেকেই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ধর্মীয় সামাজিক উপলক্ষ্য হিসেবে গণ্য হওয়ার অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে।
শস্য উৎপাদন, সন্তান লাভ, শারীরিক নিরাময় -এসবও এই উৎসবের সঙ্গে জড়িত। এ উৎসবে আদিম যাদুবিদ্যা, আচার, অভিচার, ভয়ঙ্করতা যাই থাকুক না কেন এ সময় সমাজের তথাকথিত অন্তজ, অবহেলিত, দরিদ্ররা সাময়িকভাবে হলেও মান্যতা পান বর্ণাশ্রম কেন্দ্রিক সমাজ কাঠামোর মধ্যেই। এই ভাবেই মেতে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের অন্তর্গত কানাশোল ঝাড়েশ্বর মন্দিরের ভক্তদের জল ঢালার ভিড়।