নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোচবিহার :: শনিবার ২৭,এপ্রিল :: এ রাজ্যে মূলত রাজবংশীরা মাষানের পুজো করেন। এই দেবতাকে জড়িয়ে রয়েছে কত না গল্পকথা। কাউকে মাষান ‘ভর’ করলে মন্ত্রগান শোনানো হয় ঠিক করবার জন্য। লোকনাট্যের আঙ্গিকের গান, আর সেই ‘মিউজিক থেরাপি’ রোগীকে নাকি দিব্যি সুস্থ করে তোলে।
এক জেলার মাষান যদি গান শুনে তুষ্ট হন, তো অন্য জেলার মাষান তুষ্ট মুখোশ পুজোয়। মাষান পুজোর উৎস হল প্রচলিত লোক বিশ্বাস এই পুজো করলে সমস্ত রকম অমঙ্গল থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কোচবিহার অন্যতম প্রসিদ্ধ মাশান পাঠ গোসানিমারি এলাকার মাশান বাবার পূজারী মিঠুন চক্রবর্তী জানান, মূলত সন্তানের জন্যই বাবার পুজো হয়। এক মাসে গড়ে কুড়ি থেকে ২৫ জনের মনোকামনা পূরণ করেন বাবা। তারাও নিজেদের মতো করে মূর্তি বানিয়ে পুজো করে থাকেন মন্দিরে।
আজ থেকে দেড়শ বছর আগেও মাসান বাবার পুজোর প্রচলন ছিল না। পরবর্তীতে তার মাহাত্ম্য এবং তার মনস্কামনা পূরণের গল্প ছড়িয়ে পড়ে, সেখান থেকেই পুজোর সূচনা। প্রতিবছর বৈশাখ মাসে ঘটা করে মেলার মধ্যে দিয়ে দোসরা জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত পুজো হয় বাবার।
বাবা এখানে সবার, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরাও এই মন্দিরে পূজা করে থাকেন। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ পুজো দিতে আসেন। বাবা সকলের মনস্কামনাই পূরণ করেন।