নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কোচবিহার :: শনিবার ৪,মে :: “শ্বেত পদ্ম মধুর খোঁজে” – মধু, সর্দি জ্বর থেকে শুরু করে গলা এবং বিশেষ করে শরীরের হাড়ে ফ্লুইড তৈরি করতে সহযোগিতা করে। একসময় কোচবিহারে প্রচুর পরিমাণে এই মধু উৎপাদন হতো। বিশেষ করে শীতের সময়। এই দিনকে ফিরিয়ে আনতে নতুন উদ্যমে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কোচবিহার শহর পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুধী নাগরিক সমাজ।
রাজমাতা দীঘি এপিয়ারি শীর্ষক এই সংস্থাটি কোচবিহার রাজমাতা দিঘির বেশ কিছু স্থানে মৌমাছি প্রতিপালনের বাক্স বসিয়েছে। তাদের দাবি এই মৌমাছি পালন আগামী দিনে কর্মসংস্থানের নতুন দিশা হয়ে উঠতে পারে কোচবিহার জেলায়। সম্প্রতি দেখা গেছে কোচবিহার রাজমাতা দীঘি ভরে উঠেছে শ্বেতপদ্ম তে। আর তারই মধু সংগ্রহ করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে মৌমাছি।
কোচবিহার অনাসৃষ্টি সংগঠনের পরিচালনায় মৌচাষী কৃষ্ণপদ সরকারের উদ্যোগে এপিস মেলিফেরা প্রজাতির মৌমাছি কাঠের বাক্সে পালন করা হচ্ছে। এই মৌমাছি দ্রুত মধু সংগ্রহ করে তা বিপণনের জন্য তৈরি করে দেওয়ায় সক্ষম।
প্রতিটি বাক্সে একটি করে রানী মৌমাছি সমেত কয়েক হাজার শ্রমিক মৌমাছি রয়েছে। এইরকম প্রায় কুড়ি টির বেশি বাক্স বসানো হয়েছে দিঘী চত্বরে। মূলত পদ্মফুলের মধু, আমের মধু, মূলা জাতীয় সবজির মধু সংগ্রহ করতে এই মৌমাছিরা সক্ষম। সর্বোপরি সর্ষের মরশুমে সরষে ফুলের মধু সংগ্রহ করতেও ব্যবহার করা হয় এই প্রজাতির মৌমাছিকে।