প্রতিরক্ষায় অস্ত্র তৈরিতে আত্মনির্ভর হচ্ছে ভারত

নিউজ ডেস্ক :: সংবাদ প্রবাহ :: নয়াদিল্লি :: যুদ্ধের রকমফেরের সঙ্গে সঙ্গে ভারতও বদলাচ্ছে এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দ্রুত আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার আলোর উৎসব দীপাবলির দিনটি জম্মুর রাজৌরি জেলার নৌশেরা সেক্টরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাটানোর সময় এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবী বদলাচ্ছে। যুদ্ধের রীতি ও কৌশলেরও বদল ঘটছে দ্রুত। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি। ক্রমেই আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে ভারত।

কীভাবে দেশ বদলাচ্ছে তার উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্তের অবকাঠামোর দ্রুত উন্নতি ঘটছে। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ, জয়সলমীর থেকে আন্দামান-নিকোবর—সর্বত্র সীমান্ত ও উপকূল বরাবর রাস্তা তৈরি হয়েছে। অপটিক্যাল ফাইবার বসেছে। তিনি বলেন, একটা সময় অস্ত্রের যন্ত্রাংশের জন্যও অন্য দেশের ওপর ভারতকে নির্ভর করতে হতো। এখন হয় না। অধিকাংশ অস্ত্র এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা বাজেটের ৬৫ শতাংশ এখন দেশে তৈরি সমরাস্ত্র কিনতে ব্যয় করা হচ্ছে। এই আত্মনির্ভরতা একদিন ভারতকে অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

রাজৌরির লাগোয়া জেলা পুঞ্চের বিস্তীর্ণ জঙ্গলে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ২৬ দিন ধরে ভারতীয় জওয়ানদের সঙ্গে পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত জঙ্গিদের লড়াই চলছে। এই এলাকাতেই মারা গেছেন সেনাবাহিনীর ৯ জন কর্মকর্তা ও জওয়ান। সম্প্রতি আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে মাইন বিস্ফোরণে। সেই এলাকায় জওয়ানদের মধ্যে দীপাবলি কাটানোর সময় মোদি বলেন, আজ ‘অর্জুন’ ট্যাংক দেশে তৈরি হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান। ২০১৬ সালে বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনানীরাই দেশের রক্ষাকবচ। তাঁদের জন্যই দেশবাসী নিশ্চিন্ত। উৎসব হয়ে ওঠে আনন্দমুখর।

প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে রাজৌরি পৌঁছান সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নরবানে। নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও করেন। আফগানিস্তানের পালাবদলের পর পশ্চিম সীমান্তে বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − two =