নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: শুক্রবার ২৪,মে :: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্য সভায় বলছেন,মানুষ চাইলে মাথা নত করে সরে যাব । সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে, দিলীপ ঘোষ বলেন উনি বুঝতে পেরেছেন সরিয়ে দেওয়ার আগে স্বসম্মানে সরে যাওয়া ভালো । আর এটা ৪ তারিখের পরে মানুষ কিন্তু এটা বলে দেবে যে দিদি ঘুম পেয়েছে বাড়ি যাও।
নন্দীগ্রাম এখনো জ্বলছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন,ইলেকশন যেখানে যেখানে হচ্ছে দক্ষিণ বাংলায় সব জায়গায় গন্ডগোল করার চেষ্টা হচ্ছে কারণ টিএমসি জেতার কোথাও চান্স নেই । গন্ডগোল করে ভয় দেখিয়ে ভোটারদেরকে,আমাদের কর্মীদেরকে না বেরিয়ে যাতে ভোট না দেয় এসব করে কোনোকিছু আটকাতে পারবেনা ।
এই হিংসা টিংসা যা করার এই ইলেকশনে করে নিচ্ছে,এরপরে পশ্চিমবাংলায় আর এরকম কেউ করতে পারবে না।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুক্রবার বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে বিরহাটা পারবর্তী মাঠ এলাকা পর্যন্ত প্রাতঃভ্রমন করেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। তারপর তিনি বিরহাটায় পারর্বতী মাঠ এলাকায় চায়ে পে চর্চায় যোগদান করেন।
বিজেপি কর্মী খুন হয়েছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন খুন খামারি তো চলতেই থাকে,এই প্রথম বোধ হয় খুন হলো এবারে ইলেকশনে, ইলেকশনকে কেন্দ্র করে খুন খামারীতো হয়ই, শান্তি ছিলো ইলেকশনের আগে ওরা খুন করেছে, একজন ৫৬ বছরের মহিলাকে যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, পশ্চিমবাংলায় মহিলাদের কি সুরক্ষা আছে এটা বোঝা যাচ্ছে।
আপনারা শুনেছেন বাংলাদেশে একজন এমপি তিনি ট্রিটমেন্ট করাতে এসেছিলেন তিনিও খুন হয়ে গিয়েছে বাঙলায়। পশ্চিমবাংলা কার সুরক্ষা আছে দেশি-বিদেশি স্ত্রী পুরুষ, ধনী-গরীব গ্রাম শহর কোথাও সুরক্ষা নেই সেটা বারবার প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে সাধারন মানুষ এটা বিচার করুক।
ইলেকশন কমিশনের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি তিনি বলেন ইলেকশন কমিশনের সক্রিয়তা আছে বলেই প্রত্যেকটি মানুষ ভোট দিয়েছে,কেউ বলতে পারবেনা যে আমাকে ভোট দিতে দেয়নি।