সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সাগর :: রবিবার ২৬,মে :: দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় রেমাল! আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই আছড়ে পড়বে নয়া ঘূর্ণিঝড়। ফলে চিন্তায় ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর। তাঁদের কথায়, আবার একটা ঝড়, আবার ক্ষয়ক্ষতি!
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন। বিশেষত, দুই চব্বিশ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রেমাল’ সাগরদ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝে সুন্দরবন এলাকায় স্থলভাগে আছড়ে পড়বে।
অতীতে আমফান, আইলা, বুলবুল এর মত ঘূর্ণিঝড় চোখের সামনে দেখেছেন সুন্দরবনবাসী। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর। বাড়ি ভেঙে পড়েছে , নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রামে চাষের জমিতে ঢুকেছে নোনা জল। দিনের পর দিন গ্রাম ছেড়ে থাকতে হয়েছে বিধ্বস্ত এলাকার মানুষজনকে।
এখনও অনেকে আগের ক্ষতিপূরণ পাননি বলে অভিযোগ। তারই মাঝে আবারও একটি ঝড়। ফলে চিন্তায় ঘুম উড়েছে সুন্দরবনবাসীর। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’।
রাতে ধীরে ধীরে তা উপকূলের দিকে এগিয়েছে। তেমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে ‘রেমাল’। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সোমবার এবং মঙ্গলবার লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।