সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: সাগর :: সোমবার ২৭,মে :: রেমালের তান্ডব লীলায় একাধিক এলাকায় ভেঙে পড়েছে গাছ । এর মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগরদ্বীপ । গঙ্গাসাগরের কপিল মুনি মন্দির প্রাঙ্গণে যে সকল অস্থায়ী দোকানগুলি ছিল সে সকল অস্থায়ী দোকান গুলো ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে ভেঙ্গে গিয়েছে।
সকাল হতেই সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় যে সকল জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সে সকল জায়গাগুলিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল পৌঁছে গিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গাছ সরানোর কাজ শুরু করে । জেলা জুড়ে সমস্ত ফেরী পরিষেবা সে সকল ফেরী পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
বন্ধ করে রাখা হয় কাকদ্বীপ লট নম্বর ৮ থেকে কচুবেড়িয়া ভেসেল পরিষেবাও। সোমবার সকাল ছটা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সপ্তাহের প্রথম দিনে সাতটা থেকে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের বেশকিছু নদী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে নদীর নোনা জল।
নদীর নোনা জল ঢোকার কারণে চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখছেন কৃষকরা। মৌশুনীদ্বীপ, সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ , নামখানা, বকখালীতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে । কার্যত বাঁধ উপছে নদীর জল প্রবেশ করছে গ্রামে। টানা বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা এখন জলমগ্ন। যদিও কোন হতাহতর খবর মেলেনি।