নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বানপুর :: মঙ্গলবার ২৮,মে :: সীমান্তবর্তী এই হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সীমান্তে প্রহরারত বিএসএফ কর্মীরা। আর এই সীমান্ত এলাকায় এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকার ফলে জরুরি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। সদ্যোজাত জন্মানোর পর দেওয়া হয় ভ্যাকসিন, আর সেই ভ্যাকসিন রাখতে হয় ঠান্ডা ফ্রিজে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় হাসপাতালে ফ্রিজ রয়েছে বন্ধ। ছোট বড় বিভিন্ন বয়সের অসুস্থ রোগীদের জরুরীকালীন গ্যাস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ।
ফলে অসুস্থ রোগীকে এই হাসপাতাল থেকে দশ থেকে বারো কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে আসতে হচ্ছে । যা কিনা সীমান্তবর্তী এলাকার রোগীদের রাতের বেলায় অনেকটাই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় । সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে এমনিতেই রাতের বেলায় বাড়ি থেকে খুব একটা মানুষ বের হয় না । সেই জন্য যানবাহনও সেরকম ভাবে পাওয়া যায় না।
ফলে জীবন দায়ী গ্যাস থেকে শুরু করে সরকারী ঔষধ এখানকার মানুষের যে কতটা প্রয়োজন তা না দেখলে বোঝা যায় না। আর এভাবেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় সীমান্তর মানুষের যন্ত্রণা ক্রমশ বাড়ছে। হাসপাতালে সব রকম পরিষেবা চালু থাকলেও বিদ্যুৎ না থাকায় বেশিরভাগ পরিষেবা আজ অচল হয়ে রয়েছে ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ দপ্তরকে বারবার জানালেও কোনও সূরাহা হয়নি। গ্রামবাসীরাও বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানিয়েছে বলে অভিযোগ করছে রোগীর পরিবার পরিজনেরা। এমনকি প্রসুতি বিভাগের কাজও রয়েছে বন্ধ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে। প্রান্তিক হাসপাতাল বলেই কি পরিষেবায় এতটা গাফিলতি?