সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: বারুইপুর :: শুক্রবার ১৪,জুন :: মাত্র ন-মাস আগে দেখাশোনা করে বিবাহ হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ি লোকেরা অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। রাতে শ্বশুর বাড়ির থেকে খবর আসে মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সঙ্গে সঙ্গে বাবা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে ছুটে আসে মেয়েকে দেখতে।
শ্বশুর বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে নিয়ে চলে আসে মেয়েকে। মৃত গৃহবধুর নাম রেজিনা (১৮) ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত ফুলতলা ১ নম্বর গেট এলাকায়। রেজিনার বাবা ইলিয়াস বলেন ৯ মাস আগে বারুইপুর ফুলতলার বাসিন্দার নাজিমুলের সঙ্গে দেখাশোনা করে বিবাহ দেয়। বিবাহর পর থেকে অত্যাচার করতো মেয়ের উপর। অনেকবার রেজিনা তার বাবা মাকে বলেছিল।
কিন্তু বাবা মা তাকে বুঝিয়েছিল এবং শ্বশুরবাড়ি থাকার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল। হঠাৎ রাত্রে নাজিমুলের বাড়ি থেকে ইলিয়াসের বাড়িতে ফোন করে বলা হয় যে মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের বাবার সন্দেহ হয়। তার মেয়েকে খুন করে।
শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ, স্বামী ও শশুরের বিরুদ্ধে । মৃতের বাপের বাড়ি লোকজন খবর দেওয়া হয় তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতের বাবা মৃতদেহ দেখে অভিযোগ করেন তার মেয়ে কে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, বারুইপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে মেয়ের বাবা অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত নেমে স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করে বারুইপুর থানার পুলিশ, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় মমিনপুরে।