নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: নবদ্বীপ :: বুধবার ১৯,জুন :: বিভীষিকাময় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দূর্ঘটনা থেকে বাড়ী ফিরে এখনো সেই ভয়াবহ সময়ের আতংক পিছু ছাড়ছে না কোন মতেই। সেই সময়ের কথা মনে পরলেই এখনো ঠান্ডা হয়ে আসছে হাত পা।
কেউ বলছেন সামনে যেন মৃত্যুকে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি, তো কেও বলছে আর কোন দিন ট্রেনে উঠবো না।
সোমবারে বিভীষিকাময় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থেকে বাড়ি ফিরে এমনটাই জানান নদীয়ার শান্তিপুর ও নবদ্বীপের ঐ দূর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রেনের যাত্রীরা।
নবদ্বীপ শহরের চার(৪) নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা উত্তম সাহা বয়স আনুমানিক ৪৩, তার স্ত্রী পম্পি সাহা ও তাদের সারে চার বছরের একমাত্র সন্তান আয়ুস সাহা, ও উত্তম সাহার শশুর বাড়ির বেশ কিছু সদস্যরা মিলে গত ইংরেজির ৯-ই জুন রবিবার ছুটি কাটাতে আগরতলায় যান ও পরিবারের সাথে ছুটি কাটিয়ে ১৬ই জুন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এ করে বাড়ি ফিরেছিলেন।
সেই ট্রেনটিই পড়ে দূর্ঘটনার কবলে। বিভীষিকাময় দূর্ঘটনার অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন পম্পি সাহা, তিনি জানান সেই সময় আমি বাথরুমে ছিলাম ছেলে বাইরে ছিলো,, হঠাৎ করে সব যেন তোলপাড় হয়ে যায়,,চোখে মুখে আতংকের ছাপ, দু চোখে জল নিয়ে তিনি জানান কপালের জোরেই একমাত্র সন্তান ও পরিবার কে নিয়ে বেঁচে ফিরেছি। আমাদের কিছু হয়েগেলে সন্তানের কি হতো, আর যদি সন্তানের কিছু হয়ে যেতো আমরাতো শেষ হয়েই যেতাম।