নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ক্যানিং :: মঙ্গলবার ২৫,জুন :: দেদার বহুতল আর কারখানার অনুমতির ফলে সারা বছর জলের নিচেই বসবাস আন্দুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আরগোরের মানুষজনদের । আর এই দুর্ভোগ চলে প্রায় সারা বছরই। স্থানীয়দের অভিযোগ আন্দুল গ্রাম পঞ্চায়েত দেদার বহুতল ও কারখানার অনুমতি দিয়ে চলছে।
জলাশয় বুঝিয়ে হচ্ছে একের পর এক কারখানা ও বহুতল, যার জেরে জল নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে গোটা এলাকায়। আন্দুল আরগরীর খেলার মাঠ আজ যেন পুকুরে পরিণত। এখানে খেলাধুলা তো দূরের কথা সাধারণ মানুষ যাতায়াত পর্যন্ত করতে পারে না। স্থানীয়দের অভিযোগ এর জেরে বন্ধ হয়েছে একটি অঙ্গনওড়ি স্কুলও।
স্কুলের বদলে আজ ছাত্র-ছাত্রীদের আস্তানা হয়েছে এলাকার ক্লাবে। এলাকার রাস্তাঘাট কার্যত বন্ধ। হাঁটাচলা করার জন্য সাধারণ মানুষ তৈরি করেছেন নিজেদের খরচে বাঁশের সেতু। বিগত পঞ্চায়েত বোর্ড এই সমস্যা তৈরী করে দিয়ে গেছে, যার যন্ত্রনা ভুগতে হচ্ছে বর্তমান পঞ্চায়েত বোর্ডেকে, অভিযোগ আন্দুল গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধানের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বারবার প্রশাসন এর কাছে গিয়েও হয়নি কোনো উপকার। সমস্যার সমাধানে প্রায় প্রায় দিনই দফায় দফায় বিক্ষোভ ছড়ায় পঞ্চায়েত দপ্তরে। বিক্ষোভের ফলে মেলে আশ্বাস, তারপর যে কে সেই জলের মধ্যেই জীবনযাপন করতে হয় এখানকার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষকে।
জাতীয় সড়ক উঁচু হয়ে যাওয়ায় বেড়েছে সমস্যা। বর্ষার আগেই এই সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন বর্তমান আন্দুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তবে আশ্বাসেই আর চিড়ে ভিজছে না এখানকার বাসিন্দাদের।