সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ভাঙড় :: বৃহস্পতিবার ২৭,জুন :: এবার টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জেলে থাকা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।
ভাঙড় কলেজ মাঠে একটি সভা থেকে আরাবুল ও আরাবুল ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন শওকত মোল্লা। আরাবুল ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদ সদস্য খাদিজা বিবির বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজ করছে বলেও অভিযোগ করেন শওকত। লক্ষ্ লক্ষ্ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিট দিয়েছে তৃণমূলের নেতা আরাবুল ইসলাম।
তাঁর বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শওকত মোল্লা । তিনি বলেন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুন করার চক্রান্ত করেছে আরাবুল। আমি যখন দায়িত্ব পাই তখন সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলাম এই এলাকাকে। এই ভাঙড়ের একজন নেতা ছিলেন আরাবুল ইসলাম। এখানে যে ঘটনা ঘটেছে, শুনলে অবাক হবেন।
আমার কাছে চিঠি এসেছে। পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়ার নাম করে ৬ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রধান করার জন্য কারোর কারোর কাছ থেকে ২৫ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। আমি তখন এক মাস হয়েছে এসেছি, তলায় তলায় কী কী হয়েছে কীভাবে বুঝব। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমাদের তিনজন কর্মী খুন হন। অনেকে আহত হন। আহত প্রত্যেক কর্মীকে নিজের পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা করে দিয়েছি।
কিন্তু মাঝখানে প্ল্যান হল খয়রুলকে মার্ডার করতে হবে। আমি তখন কিছুই জানতাম না। দলটাকে পুরো শেষ করে দিচ্ছিল আরাবুল। আমি দলের হাল ধরেছি। ভাঙড়কে অশান্ত করার মাস্টারমাইন্ড হলো আরাবুল। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকাত মোল্লার বক্তব্যে স্পষ্ট ভাঙড়ে যে সকল গন্ডগোল হচ্ছিল তার মাস্টারমাইন্ড আরাবুল ইসলাম ।
তার কথায় ভাঙড়ের ভিলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম। তার বক্তব্যে স্পষ্ট ভাঙড়ের রাজনীতিতে আরাবুলের ইতি টানলেন তিনি এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ ।
এর পাশাপাশি জেলা পরিষদের সদস্য খাদিজা বিবির নামেও বিস্ফোরক দাবি করেন শওকত মোল্লা। জানান খাদিজা বিবি যিনি জেলা পরিষদের সদস্য তিনি একেবারে ভিতর থেকে আইএসএফের সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন এখানে যাতে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যায় । খাদিজা দলের সঙ্গে গদ্দারি শুরু করেছে । যদিও আরাবুল ঘনিষ্ঠ খাদিজা বিবিকে ফোন করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।