নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: মহিষাদল :: রবিবার ৭,জুলাই :: মহা সাড়ম্বরের মধ্যদিয়ে মহিষাদলের প্রাচীন রথযাত্রার শুভারম্ভ হল শনিবার। কাঠের রথের কাঠের চাকাগুলিকে গঙ্গা জল, দই, দুধ, ঘি, মধু সহ আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদি দিয়ে পুজো আর স্নান করানো হয়।
রথের আগের দিন পূজার্চনা করে রথের নেত্র উৎসবের মধ্যদিয়ে রথের স্নানযাত্রা বা শুদ্ধিকরণ করা হয়। মহিষাদলের ১৩ চূড়ার রথের স্নান যাত্রা মানে রথের চাকাকেই স্নান করানো।
আড়াইশো বছরের বেশি প্রাচীন মহিষাদলের রথ। এক সময়ে এই কাঠের রথের চুড়া ছিলো ১৭, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চূড়ার সংখ্যা কমেছে। এখন ১৩ টি চূড়া মহিষাদল রথের। চাকার সংখ্যা ৩৪টি। রথের সেই ৩৪ টি কাঠের চাকাকেই পঞ্চ গব্য দিয়ে পুজো করা হয়। যাতে এঁটেল মাটিতে রথের চাকা আটকে না যায়, সেদিকে তাকিয়েই রথ টানার সময় এই স্নান যাত্রা চলে বলে ইতিহাসবিদরা জানিয়েছেন।
মহিষাদলের রথের অধিষ্ঠিত দেবতা গোপালজিউর সাথে যান জগন্নাথ। তাই মহিষাদলের রথে স্নানযাত্রার অনুষ্ঠান হয় না।পুরি মাহেশের পরে স্থান রয়েছে মহিষাদলের প্রাচীন রথের। সেই রথ উৎসবকে ঘিরে উন্মাদনা শুরু হয়েছে মহিষাদলবাসির মধ্যে।
রাত পোহালেই রথযাত্রা উৎসব।দেশ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো মহিষাদলের রথের রশিতে টান।রথকে কেন্দ্র করে রথ উৎসব যাতে সুন্দর ভাবে পরিচালিত হয় তার জন্য মহিষাদল রাজ পরিবার,মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতি ও মহিষাদল রথ পরিচালন কমিটি যৌথ তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।