নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :; ঘাটাল :: বুধবার ১৭,জুলাই :: প্রতিবেশীকে খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডর নির্দেশ দিল ঘাটাল মহকুমা আদালত। দীর্ঘ ১০ বছর পর কেস চলার পরে।এই রায়।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে ২৬শে ফেব্রুয়ারি চন্দ্রকোনা থানার অন্তর্গত বেউড়গ্রাম অঞ্চলে খুন করা হয় সুনীল লাগা নামে এক ব্যক্তিকে।
ওইদিন সন্ধেবেলা বেউড়গ্রাম মোড় থেকে বাজার করে ফেরার সময় সুনীল লাগাকে ডেকে নিয়ে যায় আল্পনা ভূঞ্যা ওরফে কালী এবং তার বাবা রবীন্দ্রনাথ ভূঞ্যা ও মা সন্ধ্যা ভূঞ্যা । ওইদিন সুনীল লাগা বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। পরদিন সকালবেলা ভূঞ্যা পরিবারের বাড়ির থেকে ১৫ মিটার দূরে বারিক পুকুরের ধারে সুনীল লাগা এর মৃতদেহ উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।
সুনীল লাগার ছেলে তাপস লাগা মৃতদেহ শনাক্ত করেন এবং ওইদিনই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। আল্পনা ভূঞ্যা পুলিশের কাছে অপরাধ স্বীকার করে। খুনে ব্যবহৃত নাইলন দড়ি আলপনা ভূঁইয়ার শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার নব্বই দিনের মধ্যে আদালতে তদন্তের চার্জশিট পেশ করে চন্দ্রকোনা থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত অধিকারিক। দীর্ঘ ১০ বছর যাবত সাক্ষ্যপ্রমাণ ও তদন্তের ভিত্তিতে গতকাল আল্পনা ভূঁঞ্যাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ১৬ই জুলাই শাস্তি ঘোষনা করে ঘাটাল মহামান্য আদালত।
৩০২ ধারার অন্তর্গত এই মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০,০০০ টাকার জরিমানার শাস্তি ঘোষণা করেন বিচারক। তদন্ত চলাকালীন মৃত্যু হয় অভিযুক্তের বাবা রবীন্দ্রনাথ ভূঁঞ্যা র।
তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা ভূঁঞ্যা কে খালাশ করে আদালত।