নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: ঘাটাল :: শনিবার ৩,আগস্ট :: অবশেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘাটাল ব্লকের ঝুমি নদীতে জল বেড়েছে। ভেসে আসছে কচুরিপানা, কচুরিপানার চাপে সাতটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে ভেসে গিয়েছে।
চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শনিবার সকালে এলাকাতে আসেন ঘাটালের এসডিও সুমন বিশ্বাস। তিনি এলাকা পরিদর্শন করেন। অবশেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন জলের ওয়াটার লেভেল পাই। এখনো পর্যন্ত বিপদ সীমার নিচে জল বইছে। নদীর উপর বাঁশের সাঁকো গুলি ভেঙে যাওয়ায় নৌকায় পারাপার চলছে।
আমরা স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি, যাতে নৌকাতে একসাথে বেশি মানুষ না তোলা হয় এবং প্রয়োজনে লাইফ জ্যাকেট রাখার জন্য। প্রতিটি নৌকা যাতে ফিট থাকে সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একেবারে নদীর সামনে বিদ্যালয়ের অবস্থান হওয়ায়, মনসুকা এলএনহাই স্কুলের পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তবে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যোগাযোগের জন্য দেয়া হয়েছে খেয়া। খেয়াতেই পারাপার করছেন মানুষজন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে আরও দুটি খেয়া দেওয়া হবে এই খানে। উল্লেখ্য ২০২১ সালে ঝুমি নদীর উপর ভগবতী সেতু তৈরির কাজ শুরু হলেও এখনো পর্যন্ত তা শেষ হয়নি। যার ফলে সাধারণ মানুষকে আবারও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে এই বর্ষায়।
ঘাটালের বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই জল বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসন। যদিও সেই ভাবে এবছর ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনো।