আদ্যপান্ত ভদ্র এবং ভালোমানুষ বুদ্ধবাবু লড়াই শেষ করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে

আনন্দ মুখোপাধ্যায় :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: বৃহস্পতিবার ৮,আগস্ট :: প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । ৮০ বছর বয়স হয়েছিল তাঁর। বালিগঞ্জে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই প্রয়াত হয়েছেন তিনি। রেখে গেলেন স্ত্রী ও এক সন্তানকে। দীর্ঘ পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবন। প্রথমে সাতগেছিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। এরপর ১৯৮৭ সালে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ান। ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা এই কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন বুদ্ধবাবু।

১৯৪৪ সালের ১ মার্চ কলকাতায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জন্ম। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য তাঁর কাকা। আজীবন বামপন্থায় বিশ্বাসী এই মানুষটির রুচিবোধ নিয়ে এখনও চর্চা হয়। রাজনীতির পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাতেও সমান আগ্রহ ছিল বুদ্ধবাবুর। শৈলেন্দ্র সরকার বিদ্যালয় থেকে স্কুল জীবন শেষ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে (অধুনা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) বাংলা সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর সরকারি স্কুলেই শিক্ষকতা করতেন।

১৯৬৬ সালে সিপিএমের প্রাথমিক সদস্যপদ নেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ১৯৭২ সালে সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে বিধানসভা ভোটে প্রথমবার লড়াই। ২০১১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত সে জয়যাত্রা অব্যাহত থেকেছে। রাজ্যের বিভিন্ন দফতর সামলেছেন তিনি। তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে পর্যটন, নগরোন্নয়ন— কখনও পূর্ণ মন্ত্রী, কখনও আবার সাময়িকভাবে সামলেছেন দফতর।

১৯৯৬ সালের পর স্বরাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। জ্যোতি বসু অবসর নেওয়ার পর ২০০০ সালে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন বুদ্ধবাবু। বাংলায় ৩৪ বছরের বাম রাজত্বের শেষের ১০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী তিনিই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 3 =