নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: সিঙ্গুর :: রবিবার ১,সেপ্টেম্বর :: সিঙ্গুর কি আবার আন্দোলনের পথে সত্য সন্ধানে তৈরি হল সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুনর্ব্যবহার কমিটি। সিঙ্গুর আন্দোলনে সিঙ্গুর জমি রক্ষা কমিটির যারা প্রথম সারিতে ছিলেন তারা এবার সত্য সন্ধানে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ।
২০০৬ সালের প্রায় হাজার একর জমির ছোট ন্যানো গাড়ির কারখানা করার জন্য টাটা ঘিরে নিয়েছিলেন এলাকা কারখানার শেড ও তৈরি হয়েছিল কিন্তু সিঙ্গুরের জমির রক্ষা কমিটির আন্দোলনে উত্তপ্ত হয় এলাকা সেই আন্দোলনে প্রথম সারিতে ছিলেন বিরোধী দলনেত্রী বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
চিত্র পরিচিতি :: সিঙ্গুরে বর্তমানে জমির হাল – নিজস্ব চিত্র
তারপর দীর্ঘ আন্দোলনের পর অনিচ্ছুক সকলেই কোর্টের নির্দেশে জমি ফেরত পান বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারিভাবে কমিটি করে সরকারি উদ্যোগে জমি চাষযোগ্য করে ফেরতের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এবং এলাকায় যাতে চাষীরা আবার চাষ করতে পারে কংক্রিট বোল্ডার সরিয়ে তার জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করেন।
হাজার একরের মধ্য ৩০০ একর চাষযোগ্য হলেও এখনো পর্যন্ত ৭০০ একর চাষের অযোগ্য সেটাকে এলাকায় গেলেই বোঝা যাবে। এলাকার মানুষের একটাই দাবি ছিল তাদের জমি চাষযোগ্য করে তাদের তুলে দিতে হবে সেই মতো মমতা ব্যানার্জি উদ্বোগও নেন কাজ শুরু হয় কিন্তু হঠাৎ কোনো কারণে জমি চাষযোগ্য করার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে বোঝা যায় যে মুখ্যমন্ত্রী অর্থাৎ মমতা ব্যানার্জির কাছে সঠিক খবরগুলো যাচ্ছে না যাদেরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল এই এলাকায় তারা বলছে যে ৯১ শতাংশ জমি নাকি চাষযোগ্য হয়ে গেছে এবং চাষ শুরু হয়ে গেছে ।
এলাকার মানুষ এবং তখনকার আন্দোলনের প্রথম সারির ছিলেন যারা সিঙ্গুর জমি রক্ষা কমিটির প্রথম সারির মুখ দুধকুমার ধারা, মহাদেব দাস ,তিমির কুমার ঘোষ , দীপঙ্কর ঘোষ, তপন কোলে ,কিংশুক ঘোষ এখন সিঙ্গুর বন্ধ্যা জমি পুনর্ব্যবহার কমিটির ২১ জনের কমিটিতে প্রথম সারিতে । তারা চাইছেন চাষযোগ্য করে এবং যে মিনি গুলো করা হয়েছে সেগুলিকে সোলার প্যানেল লাগিয়ে যাতে চাষীদের হাতে তুলে দেয়া হয়