নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: মঙ্গলবার ১,অক্টোবর :: কাল মহালয়া। তার আগে বাড়ির পুরনো রেডিও সারাইয়ের জন্য ব্যস্ততা দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রেডিও কারিগরের দোকানে। মহালয়ার আগে রেডিও প্রস্তুত রাখার জন্য শেষ মুহূর্তের ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে।
টেকনোলজির প্রাচুর্যে সারা বছর ধরে অবহেলায় পড়ে থাকলেও মহালয়ার দিন ভোরবেলায় যেন নতুন করে জেগে ওঠে পুরনো রেডিও। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় চণ্ডীপাঠের সুর শুনে প্রতি বছর পুজো শুরু হয় আম বাঙালির। তাই স্মার্টফোনের যুগেও হারিয়ে যেতে বসা রেডিওর নস্টালজিয়ায় ভাসতে দেখা যায় অনেক মানুষকে।
মহালয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই পুরনো রেডিও সারাইয়ের ব্যবস্থা শুরু হয়। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় চণ্ডীপাঠ শোনার জন্য জলপাইগুড়িতেও বিভিন্ন রেডিওর দোকানে ভিড় করছেন অনেকে। বতর্মানে হাতে হাতে রয়েছে মোবাইল ফোন। রয়েছে কম্পিউটার, ল্যাপটপ। সেখানে ইউটিউব, এমপি থ্রি ফাইল ও সিডিতে খুব সহজেই এক ক্লিকে মহালয়ার সুর বাজানো যায়।
কিন্তু মহালয়ার ভোরে আকাশবাণীর বিশেষ প্রভাতী অনুষ্ঠান শোনার মধ্যে আলাদা আনন্দ খুঁজে পান সাধারণ বাঙালি। তাই মহালয়ার আগে পুরনো রেডিও সেট সারানোর ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়। জলপাইগুড়ির রেডিও কারিগর গৌতম দাস বলেন, দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে খারাপ রেডিও ঠিক করে আসছেন তিনি। বর্তমান সময়ে সারা বছর রেডিওগুলো ঘুমিয়ে থাকলেও শুধুমাত্র যেন মহালয়ার জন্যই ফের জেগে ওঠে। কারণ, রেডিওতে মহালয়া শোনার যে আনন্দ তা অন্য কিছুতে পাওয়া যায় না।