গাড়ি চালকের বুদ্ধিমত্তায় দশমীর রাতে রক্ষা পেল দুই মদ্যপ কিশোরী। চাঞ্চল্য বালুরঘাটের ব্রীজকালীতে – প্রসংশনীয় ভূমিকা পুলিশের

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বালুরঘাট :: সোমবার ১৪,অক্টোবর :: দশমীর উৎসবের রাতে যখন সকলেই আনন্দে মত্ত, তখন বালুরঘাট শহরের ব্রীজকালী এলাকায় ঘটে যাওয়া এক ঘটনায় প্রমাণিত হলো সচেতনতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় এক গাড়ি চালক মিঠুন সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত ও বিচক্ষণতায় বিপদের মুখ থেকে রক্ষা পেল দুই মদ্যপ কিশোরী।

জানা গেছে রবিবার রাতে মিঠুন সরকার তার গাড়ি চালানোর সময় দুই কিশোরীকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ব্রীজকালীতে কিছুটা অন্ধকারে একাকি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। টলোমলো শরীরে অসংলগ্ন কথাবার্তা এবং শরীর থেকে ভেসে আসা মদের তীব্র গন্ধ দেখে সন্দেহ জাগে তার মনে। যুবতীরা তাকে কুমারগঞ্জে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করলেও মিঠুন তার দায়িত্বশীল মনোভাবের পরিচয় দেন।

প্রথমেই কিশোরীদের গাড়িতে উঠে বসতে বলেন তিনি, এরপর গাড়ি থেকে কিছুটা কৌশলে নেমে গিয়ে ঘটনার কথা টেলিফোনে জানান বালুরঘাট থানার পুলিশকে। যে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ।

যেখানে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে কুমারগঞ্জের কলোনী পাড়ায় তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। যাকে ঘিরে ওইদিন রাতে তুমুল চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শহরের ব্রীজকালী এলাকায়। যে ঘটনায় গাড়ি চালক মিঠুন সরকারের সময়োপযোগী তৎপরতা ও তার দায়িত্বশীল কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্থানীয় মানুষজনেরা।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ধরনের সতর্কতা সমাজে অপরাধ প্রতিরোধে সহায়ক এবং এর মাধ্যমে সবার মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে এই ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো, সামান্য সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে, যা মিঠুন সরকারের বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।

এদিকে কুমারগঞ্জ থেকে ওই কিশোরীরা কিজন্য বালুরঘাটে এসেছিল, মদ্যপানই বা কোথায় হয়েছিল সেই ঘটনার তদন্তে তদপ্নতে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 5 =