নদী বাঁধের কাজ পরিদর্শন করতে এসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী, বাঁধের জন্য জমি দিতে নারাজ গ্রামবাসীরা

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: নামখানা :: বৃহস্পতিবার ১৭,অক্টোবর :: এলাকায় মাটির নদী বাঁধ থাকার কারণে প্রতি বছরই কোনো না কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা কোটালের জোয়ারের জলের তোড়ে ভেঙে যায় মাটির নদী বাঁধ। মাটির নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। এলাকাবাসীদের রক্ষা করতে সেই মাটির নদী বাঁধ আবারও নির্মাণ করার জন্য গ্রামবাসীদের জমি অধিগ্রহণ করে সেচ দপ্তর।

কিন্তু অস্থায়ী ভাবে নদী বাঁধ মেরামতির কাজ করার কারণে পুনঃ নির্মাণ করা সেই নদী বাঁধ আবারো ভেঙে যায়। এর ফলে গ্রামবাসীদের আবারো জমি দিতে হয় স্থায়ী কংক্রিটে নদী বাঁধ না থাকার কারণে একটু একটু করে নিজেদের চাষ যোগ্য জমি হারাচ্ছে এলাকাবাসীরা।

সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার নামখানার নারায়ণগঞ্জ যেখানে বারে বারে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় গোটা এলাকা এমনকি সবেমাত্র সমাপ্ত হওয়া দূর্গা পূজার আগেই প্রায় ৫০ মিটার নদী বাঁধ ভেঙে যায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষজন।

বিষয়টি প্রশাসনিক তৎপরতার সাথে কাজ শুরু হয় কিন্তু কাজ করতে গিয়ে একটি জেসিবিও নদী গর্ভে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে চলে যায়। বৃহস্পতিবার সেই নদী বাঁধ পরিদর্শনে এসেই এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। একেবারে পুলিশ প্রশাসনের সামনেই মন্ত্রী কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে এলাকার মানুষজন।

মূলত এলাকার মানুষের দাবি একাধিকবার এই এলাকায় নদী বাঁধ ভাঙলেও প্রশাসন সঠিকভাবে নদী বাঁধ মেরামত করে না। যে কারণে বারে বারে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় তাদের চাষের জমি। এমনকি এই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ওই এলাকার। স্থানীয় নদী বাঁধ না করতে পারলেও বোল্ডার ফেলে কাজ করলে বারে বারে এই নদী বাঁধ ভাঙতো না এমনটাই দাবি গ্রামবাসীদের।

সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর সামনেই নদী বাঁধ পুনর নির্মাণের কাজ থামিয়ে দেয় এলাকাবাসীরা। মূলত এলাকা বাসীদের দাবি স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধ এলাকাবাসীরা এমন অস্থায়ী নদী বাঁধের জন্য তাদের চাষযোগ্য জমি আর দিতে রাজি নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। মন্ত্রীর কথাতেও তারা সন্তুষ্ট হয়নি। কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 5 =