ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সাগরে

সুদেষ্ণা মন্ডল  :: সংবাদ প্রবাহ :: গঙ্গাসাগর :: শুক্রবার ২৫,অক্টোবর :: ইতিমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে গঙ্গাসাগরে। উত্তাল হয়ে গিয়েছে সমুদ্র, দৈত্যাকার ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। সুন্দরবনের বেশকিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই নদী বাঁধ উপছে এলাকার মধ্যে প্রবেশ করছে জল। জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে সুন্দরবনের একাধিক উপকূল তীরবর্তী এলাকার নদীগুলিতে।

ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে মাইকিং এবং নজরদারি। যে সকল বেহাল নদীবাঁধ রয়েছে সে সকল বেহাল নদীবাঁধ গুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে মেরামতির কাজ। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে গঙ্গাসাগরে। শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ঝড়ো হাওয়ার দাপট।

কপিলমুনি মন্দিরের সামনে সমুদ্র বাঁধ পরিদর্শন করতে আসেন রাজ্যে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জানান, ইতিমধ্যে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন উপকূল তীরবর্তী এলাকা থেকে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকায় চলছে মাইকিং এর কাজ। কপিলমুনি মন্দিরের সামনে বেহাল নদী বাঁধ নিয়ে তিনি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাকদ্বীপে এসে বলেছিলেন কপিলমুনি মন্দিরকে ঢেলে সাজানোর কথা।

কিন্তু ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল এখনো পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার কপিল মুনি মন্দিরের সামনে সমুদ্র বাঁধ মেরামতির জন্য রাজ্য সরকারকে এক টাকাও সাহায্য করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten + 19 =