নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বারাসাত :: সোমবার ২৮,অক্টোবর :: উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাত ন পাড়া এক সময়ে গভীর জঙ্গল ও জলাশয়ে পরিপূর্ণ ছিল। উন্নত যানবাহন ছিল না। এবরো খেবরো মাটি ও পাথরের রাস্তা দিয়েই মহারাজ কৃষ্ণ চন্দ্র বারাসাতের উপর দিয়ে তৎকালীন গোবিন্দপুর, সুতানুটি, কোলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
মহামায়ার স্বপ্নাদেশে তিনি ১০৮ টি কালী মন্দির তৈরির সংকল্প করেন। বারাসতের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ন পাড়ার গভীর ঘন জঙ্গল ও জলাভূমি তাকে আকৃষ্ট করে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন “মা আনন্দময়ী” কে তিনি এই স্থানে প্রতিষ্ঠা করবেন।
১৭৩৫ খ্রিস্টাব্দে জঙ্গলের মধ্যেই হোগলা পাতার মন্দির করে মা আনন্দময়ীর নিত্য পূজার ব্যবস্থা করলেন মহারাজ কৃষ্ণ চন্দ্র রায়।
সেই থেকে আজ পর্যন্ত একই রিতী মেনে পূজো পেয়ে আসছেন মা আনন্দময়ী। একের পর এক রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ,চরম অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যেও মা আনন্দময়ী এই মন্দির কে রক্ষা করে আসছেন বলেই স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস।
প্রায় দেড় শ বছর ধরে সেবাইতের কাজ করছেন চক্রবর্তী পরিবার। বরুণ চক্রবর্তী বংশানুক্রমে পূজোর দায়িত্ব পালন করছেন। বরুণ বাবু জানালেন, এখানে মা আনন্দময়ী খুবই জাগ্রত। মা সকলের কথা শোনেন। ফলে ভক্তদের ভীড় সারা বছরই এখানে লেগে থাকে। বর্তমানে ভক্তদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় মন্দির সংস্কার ও বিভিন্ন রকম সমাজ সেবামূলক কাজ নিয়মিত হচ্ছে।