দীপাবলিতে সেজে উঠেছে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম ত্রিপুরা সুন্দরী দেবী।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: আগরতলা :: বুধবার ৩০,অক্টোবর :: দীপাবলিতে সেজে উঠেছে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম ত্রিপুরা সুন্দরী দেবী। ত্রিপুরার মহারাজা ধন্য মানিক্য ১৫০১ খ্রিষ্টাব্দে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির স্থাপন করেন। মন্দিরে দেবী প্রতিমা কষ্টি পাথরে নির্মিত। দীপাবলি উপলক্ষে রাজ্যের অন্যতম মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু গোমতী জেলার, উদয়পুর মাতারবাড়ির ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির।

ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির হিসেবেও পরিচিত। দীপাবলি উপলক্ষে রাজ্যের অন্যতম মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। ৫১ পীঠের একপিঠ ত্রিপুরা সুন্দরীদেবী। ৫২০ বছরের পুরনো এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর দীপাবলি উৎসব ও মেলার আয়োজন হয়। ত্রিপুরার ১৪৫তম মহারাজা ধন্য মানিক্য ১৫০১ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির স্থাপন করেন।

মন্দিরে দেবী প্রতিমা কষ্টি পাথরে নির্মিত। দেবীর মূর্তি উচ্চতায় এক মিটার ৫৭ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ৬১ সেন্টিমিটার। প্রসঙ্গত, ১৯৪৯ সালে ত্রিপুরা রাজ্য ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়, সেই সময় ত্রিপুরার রানী কাঞ্চন প্রভাদেবীর অন্যতম শর্ত ছিল কয়েকটি মন্দিরের পরিচালনার ভার সরকারকে নিতে হবে।

কেন্দ্রীয় সরকার শর্তে রাজি হয়। এরপরই রাজ্য সরকার ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। পদাধিকার বলে মন্দিরের সেবায়েত গোমতী জেলার জেলাশাসক। ২০১৮ সালের নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর মাতাবাড়ি মন্দির পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করে রাজ্য সরকার। সরকার পরিচালিত মন্দিরের সমস্ত কাজ হলেও আজকের দিনেও রাজ পরিবারের বর্তমান প্রতিনিধি প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের নামে পুজোর অর্ঘ্য আহুতি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 5 =