নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বারাসাত :: বুধবার ৩০,অক্টোবর :: উত্তর চব্বিশ পরগনা বারাসাতের অদুরে চন্দনহাটি,কাঠোর গ্রামে আজও ভগ্ন মন্দিরে পূজিত হয়ে আসছেন রঘু ডাকাতের চার শ বছরের ডাকাত কালী
দীর্ঘদিন অযত্নে পড়ে থাকা উপেক্ষিত এই মন্দিরের গা হিম করা অজানা ইতিহাস সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। বট ও অশথ গাছ দু দিক থেকে আস্টে পিস্টে বেঁধে রেখেছে ভগ্নপ্রায় মন্দিরটিকে। সারি সারি বটের ঝুড়ি নেমেছে।
নোনা ধরা ইটের জীর্ণ মন্দিরের প্রবেশদ্বারে অশথ গাছের দুটি বিশালাকার কান্ড সিংহ দরজার মত দাড়িয়ে আছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস প্রবেশদ্বারের কান্ড দুটি আসলে রঘু ডাকাতের মা কালীর পা। তিনিই সর্বদা রক্ষা করছেন এই মন্দির ও গ্রাম কে।
আশ্চর্যের বিষয় মন্দিরের ভিতর গাছের ডাল পালা ও শিকর দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রাকৃতিক ছাদ।
মন্দিরে প্রবেশ করলেই এখনও স্যাতসেতে মাটির দেওয়াল থেকে উই আর ঝি ঝি পোকার বিশ্রামহীন শব্দ।গা ছম ছমে পরিবেশ।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা রঙ চটা দেব দেবীর মূর্তি ।ঝুরি নামা গাছের গায়ে লাল রক্তের মত সিঁদুরের আকিবুকি কাটা। মানত করা ঢিল বাঁধা সারি সারি। সব মিলিয়ে ডাকাতের গুহায় প্রবেশের অনুভূতি এখনও এখানে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, এক সময় চন্দনপুর,কাঠোর,বাদু অঞ্চল গভীর জঙ্গলে পরিপূর্ণ ছিল। হিংস্র জন্তু জানোয়ারের বাস ছিল এই অঞ্চলে। রঘু ডাকাত বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি করে এখানে আস্তানা করে।এখান থেকেই তার আরাধ্য দেবী মা কালীকে পূজো দিয়ে ডাকাত দল ডাকাতি করতে যেতেন।
মন্দিরে কোন পূজারি থাকেন না। ভক্তরা নিজেরা নিজেদের পূজো দেন। রঘু ডাকাতের সময় থেকেই মন্ত্র পাঠ নয়, ভক্তি ও শ্রদ্ধা এই মন্দিরে প্রাধান্য দেওয়ার রিতী রয়েছে। আজও সেই রিতী মেনে ভক্তরা পুরোহিত দিয়ে নয়। নিজেরাই নিজেদের পূজো দেন।