নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: কলকাতা :: বুধবার ৩০,অক্টোবর :: এক কথায় সবজি বাজার এখন অগ্নিমূল্য। দাম বেড়েই চলেছে। মানুষের সবচেয়ে বেশি চাহিদা আলুর। সেই আলুর দাম বেড়েই চলেছে। সরকার মনে করে একদল অসৎ ব্যবসায়ী বাজারে যোগান কমিয়ে কৃত্রিম চাহিদা তৈরী করছে। তাই এবার দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে হিমঘরে থাকা আলু রাখার মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানানো হয়েছে।
এমনকী আলুর দাম অবিলম্বে কমাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। খুচরো বাজারের উপর এখন নজরদারি বাড়ানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নবান্নে খাদ্যের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে পর্যালোচনা করতে টাস্ক ফোর্সের বিশেষ বৈঠক ডাকে রাজ্য সরকার।
এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধি। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার–সহ নানা দফতরের অফিসার, পুলিশ কর্তারা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছিলেন।
এদিকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আলু হিমঘরে রাখার যে সময়সীমা আছে সে পর্যন্তই আলু রাখা যাবে। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, এই বৈঠকে আলুর দাম নিয়ে সবরকম আলোচনা হয়। জ্যোতি আলুর দাম কেজিতে ২৫ টাকা করতে বলা হয়েছে।
কারণ কলকাতার খুচরো বাজারে জ্যোতি আলুর দাম কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। অথচ কদিন আগেই সেটা ছিল ৩২ টাকা কেজি। দুর্গাপুজোর পর দানা ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বাজারে শাক–সবজির দাম আবার বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আলুর দর। এই মাত্রাতিরিক্ত দর অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব।