প্রায় ২৫ পুরুষ ধরে অর্থাৎ ১২০০ বছর ধরে পুজিত হয়ে আসছেন মা কালী।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বাঁকুড়া :: বৃহস্পতিবার ৩১,অক্টোবর :: ব্রহ্মচারীদের মন্দির। কিন্তু সেখানে কালীপুজো হয় বন্দ্যোপাধ্যায়দের। প্রায় ২৫ পুরুষ ধরে অর্থাৎ ১২০০ বছর ধরে পুজিত হয়ে আসছেন মা কালী। একেবারে তন্ত্রমতে। মায়ের সামনে রাখা হয় ২৫ টি নৈবেদ্য। বাঁকুড়া তথা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম প্রাচীন কালীপুজো।

দারুন ইতিহাস রয়েছে এই মা কালীর।চার দিন ধরে চলে পুজো। বাঁকুড়া জেলার নড়রা গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীপুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। বাড়িতে তৈরি হচ্ছে মায়ের মিষ্টি। চলছে মায়ের চোখ আঁকা।

১২০০ বছর আগে ব্রহ্মচারী এবং বন্দ্যোপাধ্যায়দের এই মেলবন্ধন হয়েছিল এক বিশেষ কারণে। মায়ের ভোগে দেওয়া হয় মাগুর মাছের ঝোল। আনুর থেকে নরোত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন নড়রা গ্রামে, তারপর এই গ্রামে ব্রহ্মচারীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দান করেন বেশ কিছু জায়গায় এবং মায়ের পুজো করার অনুরোধ করেন বন্দ্যোপাধ্যায়দের। এভাবেই ১২০০ বছর ধরে চলে আসছে পুজো।

যতগুলি পুরুষ ততগুলি নৈবেদ্যর থালা। বাঁকুড়ার বন্দ্যোপাধ্যায়দের কালীপুজোর এই মৌলিকতা এর আগেও উঠে এসেছে বাঁকুড়া জেলা থেকে। ধারা অব্যাহত রেখে এখনও তন্ত্র মতে চলে আসছে পুজো। কালী মন্দিরের পাশেই রয়েছে ব্রহ্মচারীদের শিব মন্দির। গোটা গ্রাম এই কালীপুজোর অপেক্ষায় থাকে। কালী পূজার পরের দিন হয় মহাভোজ। প্রায় দশ হাজার মানুষ বসে প্রসাদ গ্রহণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − 1 =