দিদি ও জামাইবাবুর ঝগড়া থামাতে গিয়ে দিদির শ্বশুরের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক যুবক৷

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: রবিবার ৩,নভেম্বর :: দিদি ও জামাইবাবুর ঝগড়া থামাতে গিয়ে দিদির শ্বশুরের হাতে খুন হয়ে গেলেন এক যুবক৷ শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সেতু মোড় সংলগ্ন এলাকায়৷ ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন দিদির শ্বশুর-শাশুড়ি৷

খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠিয়েছে মালদা থানার পুলিশ৷ ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত৷

নিহত যুবকের নাম রবি মণ্ডল (২৩)৷ বাড়ি ইংরেজ বাজারের তেলিপুকুর এলাকায়৷ তিনি পেশায় ছিলেন ভিন রাজ্যের শ্রমিক ছিলেন ৷ বছর দুয়েক আগে বৈষ্ণবনগর থানার নাজিপুর গ্রামের যুবতী পিংকি মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়৷ রবির দিদির প্রীতির বিয়ে হয়েছিল সেতু মোড় সংলগ্ন এলাকার যুবক রকি স্বর্ণকারের সঙ্গে৷ বুধবার স্ত্রীকে নিয়ে রবি দিদির বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন৷

এদিন সকালে টাকা-পয়সা সংক্রান্ত কোনও কারণে প্রীতি ও রকির বিবাদ বাধে৷ সেই সময় রকির বাবা কৈলাশ স্বর্ণকার ঘর থেকে ক্রিকেট ব্যাট এনে রবির বুকে দু’বার আঘাত করেন৷ আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রবি৷ তড়িঘড়ি তাঁকে মালদা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন৷

সেখান থেকে রবির দেহ সেতু মোড়ে দিদির বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়৷ যদিও সেই খবর পেয়ে বাড়িতে যায় মালদা থানার পুলিশ৷ রবির মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়৷

স্থানীয় বাসিন্দা সবিতা চৌধুরী বলছেন, “বুকে আঘাত পেয়ে ছেলেটি মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল৷ আমরাই তার প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করি৷ তারপরেই তার স্ত্রী ছেলেটিকে হাসপাতাল নিয়ে চলে যায়৷ বাড়িতে ছেলে ও বউয়ের ঝগড়া চলছিল৷ সেই সময় শ্বশুর এসে ব্যাট দিয়ে বুকে আঘাত করে ছেলেটিকেই মেরে ফেলেছে৷ ওরা দিদির বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল৷ অভিযুক্ত শ্বশুর আর শাশুড়ি পুলিশ আসার আগেই পালিয়ে গিয়েছে৷”