দম্পতির ছেলে পরিযায়ী শ্রমিক। কাজের সুত্রে কলকাতায় থাকে দম্পতির ছেলে। ২০২১ সালে দম্পতির ছেলে বিপ্লব বৈদ্য নামে আবাস যোজনার ঘর আসে সেই সময়। প্রাক্তন পঞ্চায়েতের প্রধান আরজিনা গাজীর ঘনিষ্ঠ সিরাজুল মোল্লা ওই ঘরের টাকা আত্মসাৎ করেছে।
বিরোধীদের এবং পরিবারদের অভিযোগ যখন দম্পতির পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যা হয় তখন প্রাক্তন প্রধানের ঘটিষ্ঠ সিরাজুল মোল্লা বিপ্লব বৈদ্যর ব্যাংক একাউন্টের বদলে নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্ট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আনুমানিক এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন।
ফলস্বর ূপ প্রধানের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে বৃদ্ধ দম্পতির পরিবার গেলেও কোনরকম সূরাহা মেলেনি। অযথা সেই এক চিলতে কুঁড়েঘরে দিন গুজরাচ্ছে বছর সত্তরের বৃদ্ধ দম্পতি। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারে মাথা ছাদের টাকা টুকুনিও পেল না বৈদ্য পরিবার।
মীরা বৈদ্য জানান, কোনরকম ভাবে আমাদের এই সংসার চলে আমার ছেলে কলকাতা থেকে যা টাকা পাঠায় সেই টুকুনি টাকাতেই আমরা দুই বুড়োবুড়ি এখানে খেয়ে পরে বেঁচে আছি। ওষুধ কেনার পয়সা টুকুনিও নেই।
আমরা শুনেছিলাম আমাদের বাড়ি হবে সেই জন্য আমাদের আবাস যোজনায় তালিকায় নামও রয়েছে কিন্তু সেই বাড়ির টাকা এখনো পেলাম না। বিডিও অফিসে বারবার গিয়েও কোনরকম লাভ হয়নি।