আজ শুরু হতে চলেছে বাংলার সম্রাট লক্ষণ সেন আমলের সময়কার পীর হজরত শাহ খিজির রহমতউল্লাহ আলেইহের স্মৃতি বিজড়িত ঊরুস ।

কুমার মাধব :: সংবাদ প্রবাহ :: মালদহ :: মঙ্গলবার ২৬,নভেম্বর :: হরিশ্চন্দ্রপুর থানা র বাংরুয়া গ্রামে আজ শুরু হতে চলেছে বাংলার সম্রাট লক্ষণ সেন আমলের সময়কার পীর হজরত শাহ খিজির রহমতউল্লাহ আলেইহের স্মৃতিবিজড়িত ঊরুস । প্রস্তুতিও চলছে জোর কদমে। উৎসব এবার ৭৭ তম বর্ষে পদার্পণ করবে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সবথেকে প্রাচীন এই উৎসব চলবে দুইদিন ধরে।

ঊরুস আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সম্পাদক শাহাজাহান আলী জানালেন সময়টা আনুমানিক ১১৭৮ থেকে ১২০৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোন এক সময়। বাংলায় তখন সেন রাজবংশের চতুর্থ রাজা লক্ষণ সেন রাজত্ব করছেন। সেই সময় এলাকার শাখা নদীর ধরে পালতোলা নৌকা করে বাংরুয়া গ্রামের ঘাটে এসে উপস্থিত হন পীর বাবা হযরত খিজির রহমতউল্লাহ।

সে সময় বাংরুয়া সহ আশেপাশের এলাকার মানুষ ভীষণভাবে বিভিন্ন রকম অসুখ বিসুখ থেকে শুরু করে অভাব-অনটনে জর্জরিত ছিল। ওই সময় গ্রামবাসীর সহায় হন ওই পীর বাবা। অসুখ-বিসুখ থেকে শুরু করে নানা সমস্যার সমাধানে সহায়তা ওই পীর বাবা।

উরুষ কমিটির সভাপতি নাসিম পারভেজ জানান শোনা যায় সেই সময় বাংলার তৎকালীন শাসক রাজা লক্ষণ সেন সমস্যায় পড়ে পীর হজরত খিজির রহমতুল্লাহর কাছে শরণাপন্ন হন। সমস্যার সমাধান পেয়ে ও পীরের মাহাত্ম্য প্রভাবিত হয়ে ওই পীরকে তিনি ৫০০ বিঘা জমি দান করেন। সেই জমিতে গড়ে ওঠে পীরের চিল্লাখানা।

সেসময় পীরের মাহাত্ম্যের কথা শুনে বাংলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মানুষ এলাকায় ছুটে আসতেন পীরের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 2 =