ট্যাটুর সূত্র ধরেই তদন্ত চালিয়ে খুনের ঘটনার কিনারা করে পুলিশ। পাকড়াও অভিযুক্তকে এবার দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালত।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: রবিবার ১৫,ডিসেম্বর :: স্থানীয় নয়ানজুলিতে পড়ে থাকা পচাগলা মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য সামান্য একটা ‘ট্যাটু’ই ছিল সব। সেই ট্যাটুর সূত্র ধরেই তদন্ত চালিয়ে খুনের ঘটনার কিনারা করে পুলিশ। পাকড়াও অভিযুক্তকে এবার দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পূর্ব বর্ধমান জেলা আদালত।

সাজা প্রাপ্তর নাম বাপ্পাদিত্য পান। হুগলির গোঘাটেরর বেলুন গ্রামের বাসিন্দা বাপ্পাদিত্য। পরকীয়ায় বাধা পেয়ে প্রেমিকার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে খুনের দায়ে বাপ্পাদিত্য পানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বর্ধমান আদালতের প্রথম ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টর বিচারক দেবাঞ্জন ঘোষ।

এছাড়াও খুনের কারণে ২০ হাজার টাকা ও প্রমাণ লোপাটের জন্য সাজাপ্রাপ্তকে ৫০০০ টাকা আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জরিমানার টাকা না মেটালে অভিযুক্তকে আরও ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

মৃতের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবশ্য খুনে এবং প্রমাণ লোপাটে জড়িত থাকার তেমন তথ্য মেলেনি। ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়েও অকাট্য প্রমাণ মেলেনি। মৃতের স্ত্রীকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছেন বিচারক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =