নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: বুধবার ১৫,জানুয়ারি :: স্বাস্থ্য ও ক্যান্টিন পরিষেবাকে হাতের নাগালে পেতে সরব হলেন বসিরহাটের প্রাক্তন সৈনিকরা। দেশ সুরক্ষার কাজে একসময় যারা অতন্দ্র প্রহরীর মত নিয়োজিত ছিলেন। অবসরের পর বয়সের ভারে তারা হয়েছেন মুহ্যমান।
এক সময় যে হাতে থাকতো রাইফেল। আবার কখনো থাকতো যুদ্ধ বিমানের ককপিটের জ’স্টিক। আবার কখনো সমুদ্রপথে দেশকে যারা সুরক্ষা দিতেন সেই সমস্ত স্থল, বায়ু ও নৌ সেনার সৈনিক ও আধিকারিকদের অবসরের পর বয়স জনিত কারণে হাতে চলে এসেছে লাঠি, দৃষ্টিশক্তি হয়েছে ক্ষীণ। তাদের ও তাদের স্ত্রীদের শারীরিক স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে চালু রয়েছে সেনাবাহিনীর পলি ক্লিনিক পরিষেবা।
কিন্তু বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া ও টাকি থেকে সুদূর ব্যারাকপুর বা ফোর্ট উইলিয়ামের সেনা ছাউনিতে গিয়ে চিকিৎসা করাতে কালঘাম ছুটে যায় এই সমস্ত অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের। দীর্ঘদিন ধরেই বসিরহাটে স্থায়ী পলি ক্লিনিক ও ক্যান্টিন পরিষেবার দাবি করে আসছিলেন বসিরহাটের কয়েক হাজার প্রাক্তন সৈনিকরা।
এদিন শহর বসিরহাটের ভ্যাবলা-ট্যাঁটরা স্যার আর.এন. মুখার্জি হাই স্কুল মাঠে ২ রাজ রাইফেল্সের উদ্যোগে পালিত হলো ভেটারেন্স ডে ২০২৫। একেবারে অস্থায়ী তাবু বেঁধে সেখানে একদিকে যেমন প্রাক্তন সেনাকর্মী ও তাদের পরিবারের বাবা, মা ও স্ত্রীদের জন্য ছিল মেডিক্যাল চেক আপের সুবিধা। অন্যদিকে ক্যান্টিনে মুদি সামগ্রী থেকে শুরু করে সমস্ত ধরনের স্টেশনারি সামগ্রী বিক্রিরও বন্দোবস্ত ছিল।
এই কর্মসূচি থেকেও বসিরহাটে একটি পলি ক্লিনিক ও সিএসডি ক্যান্টিনের দাবি তোলেন প্রাক্তন সৈনিকরা। ন্যাশনাল এক্স সার্ভিসমেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মালেক মন্ডল, প্রাক্তন সৈনিক সুপদ দাস ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান মনোরঞ্জন গায়েনরা বলেন, “দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ক্যান্টিন ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিতে তারা যথেষ্টই সমস্যার মধ্যে পড়েন।
তাই অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে অনুরোধ করবো বসিরহাটে যেন সেনাবাহিনীর একটি স্থায়ী পলি ক্লিনিক ও সিএসডি ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা যায়। তার ফলে উপকৃত হবেন শহর বসিরহাটের পাশাপাশি সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ান ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।”