বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফার্মেসিতে ওষুধের আকাল কেন ? হাসপাতাল জুড়ে কতদিন চলবে নৈরাজ্য ?

উদয় ঘোষ :: সংবাদ প্রবাহ :: বর্ধমান :: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের ফার্মেসিতে ওষুধ সঙ্কট। ডাক্তারি প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লেখা থাকলেও মিলছে না ওষুধ। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মত সাধারণ ওষুধের পাশাপাশি জীবনদায়ী ক্যানসারের ওষুধ অমিল। মিলছে না শিশুদের ওষুধও।

বর্ধমান হাসপাতালের বহির্বিভাগের নীচে ফার্মেসিতে প্রতিদিন ব্যাপক ভিড় হয়। বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসা করিয়ে এসে সাধারণ মানুষ ওষুধের জন্য ভিড় জমান। দীর্ঘক্ষন লাইনে দাঁড়িয়ে মিলছে না ওষুধ। যা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রোগী ও পরিজনদের মধ্যে। ওষুধ না পেয়ে অনেকেই হাসপাতালের সুপারের অফিসে দরবার করছেন। কিন্তু, তাতেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

কেতুগ্রাম থেকে মঙ্গলবার চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে আসেন আমিনা বিবি। তাঁর কেমো চলছে। তাঁর স্বামী ইয়ার মহম্মদ সেখের দাবী, ডাক্তার ওষুধ লিখছেন কিন্তু ঘন্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও একটাও ওষুধ পাওয়া যায়নি।তাঁর আরও দাবী, প্রায় চার মাস ধরে এই ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। বাইরে ১৪১৮ টাকা দিয়ে এক পাতা ওষুধ মিলছে।খেটে খাওয়া পরিবারে এত দাম দিয়ে ওষুধ কেনা খুবই সমস্যার বলে তিনি জানান। এই বিষয় নিয়ে তিনি সুপারের সঙ্গেও দেখা করেন। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার মেমারির কলানবগ্রাম হোম থেকে আবাসিকদের নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন হোমের আধিকারিক তনুশ্রী হেমব্রম। তিনি বলেন, এদিন তিনজন আবাসিককে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু তাদের কোন ওষুধ ফার্মেসিতে পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে তাঁদের বাইরে থেকে এই ওষুধ কিনতে হবে। বর্ধমান ১ ব্লকের কুড়মুনের বাসিন্দা পূজা দাস বলেন, তিনি তাঁর ছেলে সুদীপ দাসকে নিয়ে হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসা করান। কিন্তু একটি নাকের ড্রপ ছাড়া আর কোন ওষুধ তিনি পাননি।

রোগী ও তাঁর পরিজনদের দাবী, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের মত সাধারণ ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসূতি মায়েদের যে ওষুধ প্রয়োজন হয় তাও অমিল। কাউন্টার থেকে ‘সাপ্লাই নেই’ বলে রোগীদের ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকমাস ধরেই এই সমস্যা চলছে বলে রোগীদের দাবী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 2 =