সুদেষ্ণা মন্ডল :: সংবাদ প্রবাহ :: ডায়মন্ডহারবার :: শুক্রবার ৩১,জানুয়ারি :: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্রের দেখিয়ে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে পড়ুয়ার ভর্তি বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
পরমব্রত রায় NEET দিয়ে ২০২৩ সালে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে MBBS কোর্সে ভর্তি হন। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ, ডাক্তারি পড়ুয়া পরমব্রত প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর সাব-ডিভিশনাল অফিস থেকে ২০২৩ সালের ৫ জুন তারিখে এসসি অর্থাৎ তফসিলি জাতির শংসাপত্র সংগ্রহ করেন।
মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে আগস্ট মাসের ১১ তারিখে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সাব-ডিভিশনাল অফিস থেকে তফসিলি উপজাতির শংসাপত্র সংগ্রহ করেন। এবং সেই শংসাপত্রের ভিত্তিতেই মেডিক্যালে ভর্তি হন।
সমিতির আরও অভিযোগ, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ৯ তারিখে BCW (Backward Classes Welfare) বিভাগের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, পরমব্রতর তফসিলি উপজাতির শংসাপত্রটি বাতিল করা হয়েছে।
তবুও তিনি এখনও মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতেই আদিবাসী সমিতির দাবি, যেহেতু অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে এবং তাঁর জাতিগত শংসাপত্র বাতিল করা হয়েছে, তাই ভর্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির সদস্যদের দাবি, “একজন ব্যক্তি কীভাবে একই সময়ে দুটি ভিন্ন জাতিগত শংসাপত্র পেতে পারে?
এটি অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়! রাজ্য সরকারের ৬ শতাংশ তফসিলি উপজাতি সংরক্ষণ নীতির অপব্যবহার যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে প্রকৃত তফসিলি জনজাতির ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাবে?”
অন্যদিকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. উৎপল দাঁ জানান, “অভিযোগ আসার পরই বিষয়টি স্বাস্থ্যভবন ও ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে জানানো হয়েছে। যেমন নির্দেশ আসবে তেমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপের কথা জানানো হয়নি।