নিজের মা ও সৎ বাবা মিলে ছয় বছরের শিশুকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে শিশুর মুখ বেঁধে বেধড়ক মারধর চালায় ।

নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: রামনগর :: শুক্রবার ৩১,জানুয়ারি :: নিজের মা ও সৎ বাবা মিলে ছয় বছরের শিশুকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে শিশুর মুখ বেঁধে বেধড়ক মারধর চালায় । শিশু জ্ঞান হারালে তার মৃত্যু হয়েছে ভেবে বাড়ি থেকে দু-কিলোমিটার দূরে একটি ফাঁকা মাঠের ঝোপের আড়ালে গভীর রাতে ফেলে দিয়ে আসে।

ভেবেছিল রাতেই শেয়াল টেনে কামড়ে ছিঁড়ে খেয়ে দেহ লোপাঠ করে দেবে। কারণ মাটিতে পুঁতে ফেললে ইদানিং ধরে ফেলার ঘটনা হামেশাই প্রকাশ্যে আসছে সেই আশঙ্কা থেকে এই চিন্তা ভাবনা।

কিন্তু শিশুটি তার ভাগ্যের জোরে ঠান্ডায় রাতভর প্রায় আট ঘন্টা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকার পর শেষমেষ শিশুটি বেঁচে ওঠে। শিশুটি উদ্ধার হতেই খবর চাউর হয় গ্রামে।

অভিযুক্ত দম্পতি যুগলকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মার। ব্যাপক উত্তেজনা রামনগর থানা এলাকার উত্তর হলদিয়া গ্রামের খয়রাণ্ডা এলাকায়। পুলিশ বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে হাসপাতলে ভর্তি করেছে। তার দুটো হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বিড়ি সিগারেটের ছ্যাকা গায়ের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়েছে শিশুকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

শিশুর গুণধর সৎ বাবার নাম সুকদেব মন্ডল। মা মামনি গিরি। প্রায় পাঁচ বছর আগে মামনির প্রকৃত স্বামী কার্তিক গিরির পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকে মামনি ছোট্ট শিশু সন্তানকে নিয়ে পাশের গ্রাম দামোদর পুর গ্রামে বসবাস করত। এর পর মাস তিনেক আগে প্রেম করে উত্তর হলদিয়ার সুকদেব মন্ডল এর সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয়।

এরপরই শুরু হয় শিশুর উপর বেশ কিছুদিন ধরে অত্যাচার। পরিশেষে শিশুই যেন দম্পতি যুগলের কাছে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল? তাই গভীর রাতে শিশুকে ঘুম থেকে তুলে মেরে ফেলার প্রয়াস।

এমনটাই প্রাথমিকভাবে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু বিড়ি সিগারেটের ছ্যাকা দেওয়া শিশুকে কষ্ট দেওয়া এর পিছনে আরো কি মানসিকতার রহস্য রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − 8 =