নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: এগরা :: শনিবার ১৫,ফেব্রুয়ারি :: পরিকাঠামোর অভাবে ধুকছে বিদ্যালয়। নেই শ্রেণিকক্ষ থেকে লেডিস টয়লেট। ভুগছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে আবেদন করেও মেলেনি সুফল। ফলে ব্যাংক থেকে ব্যক্তিগত ঋণ নিয়ে বিদ্যালয় কক্ষ গড়ছেন প্রধান শিক্ষক।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়, বেশ কয়েক বছর ধরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ফলাফলের ভিত্তিতে একেবারে উপরের সারিতে রয়েছে। অথচ শিক্ষায় অগ্রণী এই জেলার এক একটি বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো অত্যন্ত বেহাল। এই রকম একটি বিদ্যালয় হলো ‘বহলিয়া জুনিয়র হাইস্কুল’।
এগরা ১ ব্লকের এই বিদ্যালয় পরিকাঠামোর অভাবে ধুকছে। প্রথমত শ্রেণী কক্ষের খুব অভাব। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এই বিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। অথচ কাছাকাছি অন্যান্য উচ্চ বিদ্যালয় নেই। ফলে অন্যান্য স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা কার্যত বিনে পয়সায় এই বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন করতে আসে।
তাই এক একটি শ্রেণিকক্ষে দুই তিনটি শ্রেণীর পঠন পাঠন হয়। তাতেও জায়গা কুলোয় না। ফলে বারান্দাতেও ক্লাস বসে। এগরা পশ্চিম চক্রের এই বিদ্যালয়ে বহলিয়া, বরিশা,জুকি, মুণ্ডমারাই ও বলিহারপুর সহ প্রায় ৬টি গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে।
এই বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। ইতিমধ্যে ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যালয়ের লেডিস টয়লেট। ফলে ছাত্রী থেকে শিক্ষিকা, সকলেই বিপাকে পড়েছেন।