নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: বসিরহাট :: রবিবার ১৬,ফেব্রুয়ারি :: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে মহাকুমার সন্দেশখালি হিঙ্গলগঞ্জ হাসনাবাদ হাড়োয়া মিনাখা সহ ১০ টি ব্লকের নদীমাতৃক এলাকা রয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার পরে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সুন্দরবনবাসী।
গত কয়েক বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা সব নদীপথের সংস্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোন উদ্যোগ নেয়নি এবার রাজ্য বাজেটে নদী বন্ধন বলে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে যেখানে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
তাতে খুশি বাঁধের পাড়ের মানুষরা উত্তর ২৪ পরগনা সুন্দরবনের নদী বাঁধ বাঁচানোর জন্য নদী বাঁচাও কমিটি সভাপতি অজয় বাইন নেতৃত্বে দীর্ঘ কয়েক বছর তাদের এই আন্দোলন চলছিল সুন্দরবন বাঁচলে মানুষ বাঁচবে।
দীর্ঘ তাদের এই কর্মসূচি বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে করেছেন রাজ্য বাজেটে নদীবাধের জন্য বরাদ্দ হয় খুশির রীতিমতো নদী বাঁচাও কমিটির সদস্যরা জানাচ্ছেন একদিকে ম্যানগ্রোভের চারা অন্যদিকে নদীবাধের কাজ সংস্কারের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ব্লকে ব্লকে এই আন্দোলন চলছিল আজকে তার সুফল মিলেছে, আমরা চাই আরো বেশি করে বরাদ্দ হোক।
সমাজকর্মী ছন্দক বাইন বলেন বুজির ভূমিকম্প সময় সেখানে আমরা গিয়েছিলাম বহু গবেষক সহমত পোষণ করেছিল সুন্দরবনকে বাঁচাতে গেলে নদী বাঁধ যেমন সংরক্ষণ দরকার অন্যদিকে ম্যানগ্রোভের প্রচুর পরিমাণে চারা বসানোর দরকার।
তাহলে শাখা নদীগুলো বাঁচবে। সুন্দরবন বাঁচলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাবে বাঁধের পরে মানুষ এবং অন্যদিকে পরিবেশ বাঁচবে।
বিশ্ব উষ্ণায়ন যেভাবে বাড়ছে তাতে আতঙ্কে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে গোটা বিশ্ব। পাশাপাশি নদীর জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ ম্যানগ্রোভ কাটা এগুলো বন্ধ করতে হবে বসিরহাট মহকুমা, সুন্দরবনের ইছামতি কালিন্দী রায়মঙ্গল ডাসা গৌড়েশ্বর বিদ্যাদরী সহ মোট প্রায় ৮০০ কিলোমিটার নদী বাধ রয়েছে তার মধ্যে ৯৫ কিলোমিটার কংক্রিটের বাধ হয়েছে বাকিটা এখনো হয়নি,
নদীবাঁধ সংস্কার নিয়ে বারবার রাজ্য কেন্দ্রের কাছে বারবার দরবার করেছে কিন্তু কোন বরাদ্দ না মেলায় বাধ্য এবার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলো।