নিজস্ব সংবাদদাতা :: সংবাদ প্রবাহ :: তাজপুর :: রবিবার ১৬,ফেব্রুয়ারি :: আবারও পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যটনকেন্দ্র তাজপুরে শিল্পের সম্ভাবনা। তাজপুরকে ফ্রেট করিডর করে, রাস্তার দুপাশে ইন্ডাস্ট্রি হওয়ার ঘোষণা ইতিমধ্যে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প এখন বিশ বাঁও জলে। তাই তাজপুরে নতুন শিল্প করিডর হওয়ার বিষয়টিতে ‘ সিঁদুরে মেঘ’ দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কারণ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারের তরফে জানানো হয়, তাজপুর গভীর বন্দরের কাজ শুরু হয়েছে এবং সেখানে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার জন্য দেশের নামী শিল্প সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বন্দর গড়ে উঠলেই বদলে যাবে এখানকার জনপদ। সড়ক ও রেলপথ এসে পৌঁছাবে সমুদ্রতীরে। কর্মসংস্থান তৈরি হবে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের।
তারপর বঙ্গোপসাগরের অনেক ঢেউ আছড়ে পড়েছে তাজপুরের উপকূলে। অনেক জোয়ার ভাটা ঘটেছে। তবে তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর বাস্তবায়িত হয়নি। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ২৫ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র তাজপুর বন্দরের সাইট অফিস হয়েছে।
বেশ কয়েকবার প্রশাসনিক কর্তা সহ বরাত পাওয়া শিল্প সংস্থার লোকজন সরেজমিনে এসে ঘুরে গিয়েছেন। তারপর এককভাবে এই বন্দর গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার। সেই গভীর সমুদ্র বন্দরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন স্থানীয়রা।
কিন্তু সেই প্রকল্প এখন বিশ বাঁও জলে। এখন নতুন করে তাজপুরকে ফ্রেট করিডর বানিয়ে শিল্পের সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে।
তাজপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, জমি জটেই আটকে গিয়েছে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের কাজ। তবে কারণ যাই হোক না কেন, নতুন শিল্প করিডরের সম্ভাবনাতেও জমি দিতে প্রস্তুত তাজপুরের বাসিন্দারা। তবে আদৌ নতুন এই শিল্প-করিডর হবে কিনা, সে নিয়ে সন্ধিহান পর্যটন কেন্দ্র তাজপুর।
আগের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তাজপুরের এমন আশংকা। তবে গভীর সমুদ্র বন্দর হোক, কিংবা শিল্পের ফ্রেট করিডর। যাই হোক, তা দ্রুত হোক- এমনটাই চাইছে তাজপুর।